ফাইল ছবি

১৯৮৬ বিশ্বকাপটা নানা কারণেই বেশ আলোচিত। ওই বিশ্বকাপে একই ম্যাচে ম্যারাডোনার দুই বহুল আলোচিত গোল ‘হ্যান্ড অব গড’ ও গোল অব দ্য সেঞ্চুরির ঘটনা ঘটেছিল। সেবারই শেষবারের মতো বিশ্বকাপ শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছিল আর্জেন্টিনা। 

ওই বিশ্বকাপ জয়ের পেছনে দুজনের ভূমিকা ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একজন ডিয়েগো আরমান্দো ম্যারাডোনা আর অন্যজন সেই সময় আলবিসেলেস্তেদের কোচ কার্লোস বিলার্দো। এই দুই গুরু ও শিষ্যের রসায়নেই সেবার বিশ্বকাপ জিতেছিল আর্জেন্টিনা।

শিষ্য ম্যারাডোনা পরপাড়ে পাড়ি জমিয়েছেন এক সপ্তাহের বেশি সময় হয়ে গেছে। এখনো সেই খবর জানেন না গুরু বিলার্দো। এমনিতেই শারিরীকভাবে অসুস্থ তিনি। কিছুদিন আগে করোনাভাইরাসেও আক্রান্ত হয়েছিলেন ৮২ বছর বয়সী সাবেক এই কোচ। শিষ্যের মৃত্যুর খবরে আরও অসুস্থ না হয়ে যান এই কারণে টিভিও দেখতে দেয়া হচ্ছে না বিলার্দোকে।  

এই ব্যাপারে তার ভাই হোর্হে বলেন, ‘ম্যারাডোনার খবরটা হয়তো মিডিয়ায় আরও কয়েক দিন থাকবে। দুই দিন, চার দিন, বিশ দিন। যে কারণে ওকে (বিলার্দো) টিভি দেখতে দেয়ার ব্যাপারটা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। ও টিভিতে অনেক খেলা দেখে, বিভিন্ন অনুষ্ঠান দেখে।’


ম্যারাডোনার সঙ্গে বিলার্দোর সম্পর্ক নিয়ে হোর্হে বলেন, ‘ওর জীবনে ম্যারাডোনার ভূমিকা অনেক। ক্লদিয়া ভিয়াফানের (ম্যারাডোনার সাবেক স্ত্রী) বাবা কোকো ভিয়াফানে বহুদিন ধরেই আমাদের পরিচিত। আমার স্ত্রী ক্লদিয়ার সঙ্গে শপিং মলে কেনাকাটা করতে যায়, মেয়েদের জন্য জামাকাপড় কেনে। এমনকি ক্লদিয়া বেশ কিছু দিন আগে বিলার্দোকে দেখতেও এসেছিল।’

এমএইচ