আউটের আগে জয়ের সুবাস ছড়িয়ে গেলেন তামিম
হাফসেঞ্চুরি করে ফিরলেন তামিম/ছবি : বিসিবি/রতন গোমেজ
২৩১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করেন তামিম ইকবাল। দলীয় ৭০ রানের মাথায় আউট হন এই ওপেনার। তবে আর আগে নিজের ফিফটি তুলে নেন তামিম। আউট হওয়ার আগে বাংলাদেশকে চালকের আসনে বসিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বসন্তের শুরুতে টেস্ট জয়ের সুবাস ছড়িয়ে গেলেন তামিম।
ঢাকা টেস্টে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ওপেন করতে নেম বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তোলেন তামিম। টেস্ট ক্রিকেটে তার এমন ব্যাটিংয়ের জন্য গণমাধ্যমের কাছে কারণ দর্শাতে হয়। দ্বিতীয় ইনিংসে তো রীতিমতো টি-টোয়েন্টি সূলভ ব্যাটিং করেন এই বাঁহাতি। দলের প্রয়োজনেই ঝড় ওঠে তার ব্যাটে। চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় সেশন শেষের আগে ৪৪ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূর্ণ করা তামিম আউট হন ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটের বলে।
বিজ্ঞাপন
চট্টগ্রামে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টের শুরুর চার দিন নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েও ম্যাচ হাত ছাড়া হয়ে যায় অধিয়ানক মুমিনুল হকের দলের। ৩ উইকেটে ম্যাচ জিতে সিরিজে এগিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ঢাকা টেস্ট উল্টো চিত্র, যদিও এখনো ম্যাচ জয়ের স্বাদ পায়নি স্বাগতিকরা, তবে ম্যাচের শুরুর তিন দিন চালকের আসনে ছিল উইন্ডিজ। সেখান থেকে লড়াই চালিয়ে ঢাকা টেস্ট নিজেদের দখলে নিয়েছে টাইগাররা।
আগের তিন দিনের তুলনায় চতুর্থ দিনের উইকেট থেকে বাড়তি টান আর বাউন্স পেয়েছেন স্পিনাররা। সেখানে বাংলাদেশকে ২৩১ রানের চ্যালেঞ্জিং টার্গের দিয়েছে উইন্ডিজ। টেস্টে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে এতো বড় লক্ষ্য এর আগে টপকানো হয়নি টাইগারদের। সর্বোচ্চ ২১৭ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড আছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। দেশের মাটিতে জয়ী টেস্টে শেষ ইনিংসে বাংলাদেশ দলের সর্বোচ্চ রান ১০১।
বিজ্ঞাপন
২৩১ রানের সমীকরণ মেলাতে গিয়ে ঝুঁকির পথে হাঁটে স্বাগতিকরা। উইন্ডিজ স্পিনাররা চেপে ধরার আগেই তাদের উপর চাপ তৈরি করেন তামিম। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে বাউন্ডারির ফুলঝুরি সাজান নিজ ব্যাটে। এতে রক্ষণাত্মক ফিল্ডিং সাজাতে বাধ্য হন ক্যারিবীয় অধিনায়ক। ওয়ানডে ঘারানার ফল্ডিং পেয়ে ১-২ রান নিয়ে রানের গতি বাড়ান সৌম্য। তবে দেখে খেলতে গিয়ে বিপত্তি তৈরি করেন তিনি। ফেরেন ৩৪ বলে ১৩ রান করে।
পরে ৯টি চারের সাহায্যে ৪৪ বলে ফিফটি তুলে নিয়ে দলকে জয়ের পথে রাখেন তামিম। কিন্তু ব্যক্তিগত ৫০ রানের মাথায় পার্টটাইমার ব্র্যাথওয়েটের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন তিনি। চা বিরতির আগে, দ্বিতীয় সেশনের ঠিক শেষ বলে নিজের উইকেট ছুড়ে দিয়ে আসেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ৩১ বলে ১১ রান করেন তিনি। দ্বিতীয় সেশনের বিরতির আগে ৩ উইকেট হারিয়ে ৭৮ রান তুলেছে বাংলাদেশ দল। জয়ের জন্য প্রয়োজন এখনো ১৫৩ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
উইন্ডিজ: ৪০৯ ও ১১৭ (বোনার ৩৮, জশুয়া ২০*; তাইজুল ৪/৩৬)
বাংলাদেশ: ২৯৬ ও ৭৮/৩ (তামিম ৫০, সোম্য ১৩; ব্র্যাথওয়েট ২/১২)
টিআইএস/এটি