উদযাপনের উপলক্ষটা নেহায়েত খারাপ ছিল না ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে আরেকটি মাইলফলক ছোঁয়ার দিন, শততম প্রিমিয়ার লিগ গোলের দিন, ক্লাবের ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই খেলোয়াড়ের অর্জন যে ক্লাবেরও অর্জন! তবে সে উদযাপনে বাগড়া দিলো আর্সেনাল। নিজেদের মাঠে ৩-১ গোলে ইউনাইটেডকে হারিয়ে যে আগামী মৌসুমে দলটির চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার আশা কার্যত শেষই করে দিয়েছে গানাররা!

রোনালদোর দিনটা মাটি করার শুরুটা করেন তারই স্বদেশী নুনো তাভারেস। ৩ মিনিটেই গোল করে স্বাগতিকদের এগিয়ে দেন এই আর্সেনাল লেফটব্যাক। ৩২ মিনিটে ঘটনাবহুল এক পেনাল্টি থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন বুকায়ো সাকা। বক্সে ঢুকে ফাউলের শিকার হওয়ার আগে এডি এনকেতিয়াকে পাস বাড়ান সাকা, সেটা জালে জড়িয়েছিলেন এনকেতিয়া। ভিএআর যাচাইয়ে অফসাইডের কাটায় সে গোল হারায় দলটি, তবে ইউনাইটেড ডিফেন্ডার অ্যালেক্স তেলেসের ফাউলটা চোখ এড়ায়নি রেফারির। পেনাল্টি কাজে লাগান সাকা।

রোনালদো ৩৪ মিনিটে গোল করেন, ছুঁয়ে ফেলেন ১০০ প্রিমিয়ার লিগের মাইলফলক, ম্যাচে ফেরার অনুপ্রেরণা দেন দলকে। তবে ইউনাইটেড সে অনুপ্রেরণা কাজে লাগাতে পারল কই! ৫৬ মিনিটে পেনাল্টি পেয়েছিল দলটি, সে পেনাল্টিটা মিস করে বসেন ব্রুনো ফের্নান্দেজ। ৭০ মিনিটে ইউনাইটেডের কফিনে শেষ পেরেকটা ঠোকেন গ্রানিত শাকা। সফরকারীরা হারে ৩-১ ব্যবধানে।

এই হারের ফলে শীর্ষ চারে থাকার আশা অনেকটাই ফিকে হয়ে গেছে রেড ডেভিলদের। ৩৪ ম্যাচে ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ছয়ে আছেন রোনালদোরা। এই ম্যাচ জিতে চারে উঠে যাওয়া আর্সেনালের অর্জন ৩৩ ম্যাচে ৬০ পয়েন্ট। হাতে থাকা ম্যাচটা গানাররা জিতে গেলে শীর্ষ চারের সঙ্গে ইউনাইটেডের দূরত্ব দাঁড়াবে ৯ পয়েন্টের। দলটির আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলার আশাটা তাই কার্যত শেষই বলা চলে। সে প্রশ্ন ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে ধেয়ে গিয়েছিল দলটির অন্তর্বর্তীকালীন কোচ র‍্যালফ র‍্যাংনিকের কাছেও। তিনিও সেটা মেনে নিয়েছেন অকপটেই। রোনালদোর মাইলফলক ছোঁয়ার দিনটা বুঝি এর চেয়ে খারাপ হতেই পারত না! 

এনইউ/এটি