দেশের ক্রীড়া ফেডারেশন ও সংস্থাগুলো নিয়ন্ত্রণ করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে সরকারি এ প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ৮ বছর পর।

দীর্ঘদিন পর এজিএম হওয়ায় এনএসসির অধীনস্থ সংস্থাগুলোর দাবিও ছিল অনেক। অধিকাংশ দাবি জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠকরা পেশ করেছেন। চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আজম নাসির জেলা-বিভাগের পক্ষ থেকে নানা সীমাবদ্ধতার বিষয় তুলে ধরে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কাছে সহায়তা চেয়েছেন। 
আশিকুর রহমান মিকু নড়াইল জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও বাংলাদেশ ভলিবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক। তার বক্তব্যে তৃণমূল ও ফেডারেশন উভয় ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় চাহিদার কথা ফুটে উঠেছে। ফেডারেশন,জেলা ক্রীড়া সংস্থার অনুদান বৃদ্ধির পাশাপাশি স্থায়ী আমানত করার প্রস্তাবও এসেছে এজিএমে। 

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চেয়ারম্যান যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল প্রতিটি দাবি মনোযোগ সহকারে শুনেছেন। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। নানা ক্ষেত্রে ক্রীড়াঙ্গনেও সাফল্য আসছে। আপনাদের প্রতিটি বিষয় আমি লিপিবদ্ধ করেছি। বিষয়গুলো পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করব। প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত ক্রীড়াবান্ধব। আমি বিষয়গুলো প্রধানমন্ত্রীর কাছে  উপস্থাপন করব। 

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের এজিএম সকালে শুরু হয়। প্রথম অধিবেশনে শোক প্রস্তাব, বিগত এজিএমের কার্যবিবরণী ও আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন হয়। মধ্যাহ্ন বিরতির পর আলোচনা শুরু হয়। ক্রীড়া সংগঠকদের মধ্যে অনেকেই বিভিন্ন সমস্যা-সীমাবদ্ধতার বিষয়গুলো তুলে ধরেন। এই আলোচনা ও প্রশ্ন-উত্তর পর্ব গড়িয়ে এজিএম সমাপ্ত হয় সন্ধ্যার আগে। 

ক্রীড়াঙ্গনে এজিএম মানেই হট্টগোল অথবা ‘পাশ’,‘পাশ’ সংস্কৃতি। এবারের ক্রীড়া পরিষদের এজিএমে গঠনমূলক অনেক আলোচনা হয়েছে। এই সুপারিশ ও পর্যবেক্ষণগুলো ক্রীড়াঙ্গনে বাস্তবায়ন হলে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন ক্রীড়া সংশ্লিষ্টরা। 

এজেড