নাজমুল হাসান পাপন বেশ ভালোভাবে প্রস্তুত হয়ে এলেন সংবাদ সম্মেলনে। বুধবার ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদের চতুর্থ বৈঠক। অলিখিত নিয়ম অনুযায়ী সভা শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হতে হয় বোর্ড সভাপতিকে। 

মিটিং শেষে পাপন বেরিয়ে এলেন হাতে ভাঁজকরা একটি কাগজ নিয়ে। কী আছে সেই কাগজে? উপস্থিত সংবাদিকদের কৌতূহল ভাঙল টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর।

মিরপুরে হওয়া এ সংবাদ সম্মেলনে পাপনের উদ্দেশে যে টেস্ট দলের হতশ্রী পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্নে ছুড়ে দেওয়া হবে, সেটি বেশ ভালোই জানা ছিল তার। এ জন্য তৈরি হয়ে একেবারে পরিসংখ্যান লিখে এনেছেন কাগজে। যদিও শুরুতে অধিনায়ক সাকিবের সুরেই জানালেন, টেস্টের সংস্কৃতিটা এখনো গড়ে তুলতে পারেনি বাংলাদেশ।

পাপন বলছিলেন, ‘সাকিব যা বলল সাকিবের ভাষ্য, আমি বলতে চাচ্ছি ওভারঅল টেস্ট সংস্কৃতি আমাদের মাঝে নেই। খেলার সুযোগটা পেল কোথায় আগে? এখন খেলা শুরু করেছে, আমরা বাইরে গিয়েও জেতা শুরু করেছি তাই বলে কি সব জিতব নাকি? এটা টোটালই আলাদা।’

এ থেকে উত্তরণের প্রসঙ্গে এলে পাপনের জবাব, ‘টানা খেলার কারণে ওদের তো ডেভেলপ করার সুযোগ পাচ্ছি না। কিন্তু সমাধান খুঁজতে একটা ওয়ার্কিং কমিটি করা হয়েছে। একটা ওয়ার্কিং গ্রুপ আমাদের কাছে আবেদন দেবে খুব শিগগিরই। টেস্ট এত সহজ না, কোনো দেশেই। বহুত সময় লাগে।’

এরপর সেই পরিসংখ্যানের খাতা খুলে একে একে অন্যদের সঙ্গে নিজেদের তুলনা শুরু করলেন পাপন।

পাপন বলেন, ‘প্রথম ৫০ বছরে ১৯৬ ম্যাচ খেলে ভারত মাত্র ৩৫টি জিতেছে। উপমহাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ ওরা। নিউজিল্যান্ড এখন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। প্রথম টেস্ট জিততে ওদের ২৬ বছর লেগেছে। বাংলাদেশের সাথে খেলত কে? জিম্বাবুয়ে আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ছাড়া কেউ খেলত নাকি? এখন তো কঠিন প্রতিপক্ষের সাথে খেলছি। আমরা তো তেমন খেলিনি, সুযোগ পাইনি। এখন সুযোগ আসছে। সুযোগ আসার সাথে সাথে খুব ভালো করবে ধরে নিলে ভুল।’

সঙ্গে যোগ করেন পাপন, ‘২০১২ থেকে এখন পর্যন্ত, ১০ বছরে ৬১টি টেস্ট খেলেছি। এর মধ্যে ১৩টি জিতেছি, ১১টি ড্র, ৩৭টি হেরেছি। জয়ের হার ২১ শতাংশ। একটা ম্যাচ, একটা সিরিজ হারলে সব হতাশ হয়ে যাব, আর যা খুশি বলে বেড়াব, দোষ খুঁজে বেড়াব- এটা করা ঠিক না।’

টিআইএস