দুই দিন ব্যাপী জাতীয় অ্যাথলেটিক্সে সাতটি রেকর্ড হয়েছে। ৩৩ বছরের রেকর্ডও ভেঙেছে এবার। ৪*১০০মিঃ রিলেতে তিন দশক আগের ও ২৪ বছর পর ২০০মিঃ স্প্রিন্টে নতুন জাতীয় রেকর্ড করেছেন নৌবাহিনীর রকিবুল হাসান। ২০টি স্বর্ণ নিয়ে পদক তালিকার শীর্ষে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। সেরা পুরুষ খেলোয়াড় হয়েছেন দ্রুততম মানব ইমরানুর রহমান ও মহিলা উম্মে হাফসা রুমকি। সংগঠকের স্বীকৃতি পেয়েছেন ডাঃ মঈন উদিদন আহমদ৷ 

প্রথম দিনে তিনটি আজ দ্বিতীয় দিনে ৪টি নতুন জাতীয় রেকর্ড হয়েছে৷ ৩৩ বছরের রেকর্ড ভঙ্গ করে ৪*১০০মিঃ রিলেতে নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়লেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইমরানুর রহমান, আব্দুল মোত্তালেব, শরিফুল ও আফজাল খাঁ সময় নিয়েছেন ৪০.৪৫ সে. এই ইভেন্টে  ১৯৮৯ সালে ইসলামাবাদে ৪০.৫৯ সে. (হ)  সময় নিয়েছিলেন শাহ জালাল, শাহ আলম,শাহান উদ্দিন ও মিলজান হোসেন।

২০০ মিঃ পুরুষ ইভেন্টে নতুন জাতীয় রেকর্ডসহ স্বর্ণ পদক জয় করলেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর রাকিবুল হাসান সময় নিয়েছেন ২০.৭৮ সে. (হ্যান্ড টাইমিং এ রেকর্ড) ২১.৪৯ (ই)। ২০০মিটার (মহিলা) স্বর্ণ পদক অর্জন করেছেন ১০০ মিঃ স্প্রিন্টের ১২ বারের দ্রুততম মানবী শিরিন আক্তার সময় নিয়েছেন ২৪.৫২ সে. (হ্যান্ড টাইমিং) ২৫.৭ (ই)।


২০০মিঃ পুরুষ ইভেন্টে নতুন  জাতীয় রেকর্ড গড়েছেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর রাকিবুল হাসান সময় নিয়েছেন ২০.৭৮ সে. (হ্যান্ড টাইমিং এ রেকর্ড) ২১.৪৯ (ই)। এই ইভেন্টে ১৯৯৯ সালে প্রয়াত মাহাবুব আলম এর সময় রেকর্ড ছিলো সময় নিয়েছিলেন ২১.০০ সে. (হা)। মাহবুব ছিলেন বাংলাদেশের সাবেক দ্রুততম মানব। সাফ গেমসেও স্বর্ণপদক ছিল তার। 

জ্যাভলিন থ্রো (মহিলা) ইভেন্টে নতুন  জাতীয় রেকর্ড গড়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর  জান্নাত বেগম ৪৬.০৬ মিঃ দূরত্ব অতিক্রম করেছেন। এই ইভেন্টে ১৯৯৭ সালে আখেরুন নেছার দূরত্ব ছিলো ৪৫.১৪ মিটার। ৪০০মিঃ হার্ডেলস (মহিলা) ইভেন্টে নতুন  জাতীয় রেকর্ড গড়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর  লিবিয়া খাতুন সময় নিয়েছেন ১:০৪.৭০সে. ।

২ দিনে মোট ৪০টি ইভেন্ট সম্পন্ন হয়েছে। ২০টি স্বর্ণ, ১৩ টি রৌপ্য ও ৯ টি ব্রোঞ্জ মোট ৪২টি পদক নিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনী পদক তালিকার শীর্ষে। ১৯ টি স্বর্ণ, ১৯ টি রৌপ্য এবং ১৩ টি ব্রোঞ্জ সহ মোট ৫১টি পদক নিয়ে ২য় অবস্থানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং ১ টি স্বর্ণ ,০২টি রৌপ্য ৮টি ব্রোঞ্জ সহ মোট ১১টি পদক নিয়ে ৩য় অবস্থানে আছে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি।

এজেড/এটি