শক্তির বিচারে স্পষ্টভাবে এগিয়ে থাকা ফ্রান্স ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ করল বেশ। তবে বারবার গোলমুখে শট নিয়েও জালের দেখা পাচ্ছিলেন না কেউই। শেষমেষ পথ দেখালেন অলিভার জিরুড। প্রথামার্ধের নির্ধারিত সময়ের এক মিনিট বাকি থাকতে গোল করেন এসি মিলানের এ স্ট্রাইকার। আর তাতে এগিয়ে থেকেই প্রথামার্ধ শেষ করেছে গত বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নরা।

তিউনিশিয়ার বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচে ১-০ গোলে হেরেছিল ফ্রান্স। যদিও সে ম্যাচে নিয়মিত খেলোয়াড়দের বেশিরভাগকে বিশ্রাম দিয়েছিল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু পোল্যান্ডের বিপক্ষে আবার সেই চিরচেনা রূপে এমবাপে-জিরুডরা। আগের ম্যাচের শুরুর একাদশ থেকে এ ম্যাচের একাদশে ৯টি পরিবর্তন আনেন ফ্রান্স কোচ দিদিয়ে দেশম।

বল দখল ও আক্রমণে এগিয়ে থাকা ফ্রান্স চতুর্থ মিনিটে প্রথম সুযোগ পায়। কিন্তু গ্রিজমানের কর্নারে রাফায়েল ভারানের হেড লক্ষ্যে থাকেনি। ক্রয়োদশ মিনিটে শুয়ামেনির দুর্দান্ত এক শট কর্নারের বিনিময়ে ফিরিয়ে দেন পোলিশ গোলর গোলরক্ষক ভয়চেখ স্ট্যাসনি। 

১৯৮৬ সালের পর প্রথমবার বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় ওঠা পোল্যান্ড ঘর সামলাতেই ব্যস্ত ছিল বেশি। বল নিয়ে ফ্রান্সের বক্সেই যেতে পারছিল না তারা। ২১তম মিনিটে প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে রবের্ত লেভান্ডোভস্কির বাঁ পায়ের শট পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়।

৩৮তম মিনিটে গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল পোল্যান্ড। কিন্তু পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে জেলিনস্কির নেওয়া শট পা দিয়ে ফেরান লরিস। 

৪৪তম মিনিটে জিরুডের রেকর্ড গড়া গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। এমবাপের পাসে বাঁ পায়ের শটে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন এসি মিলান স্ট্রাইকার। এই গোলের ফ্রান্সের সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ডে থিয়েরি অরিকে ছাড়িয়ে এককভাবে সর্বোচ্চ গোলদাত হলেন জিরুড। দেশের হয়ে তার গোল এখন ৫২টি।