ম্যাক্সওয়েল একেকটা বাউন্ডারির মার আর ক্যামেরার লেন্স বারবার যেন খুঁজে ফিরেছে আফগান স্পিনার মুজিব উর রহমানকে। ক্রিকেটের বহুল প্রচলিত একটা কথা আছে, ক্যাচ মিস তো ম্যাচ মিস। আজ সেটি হাড়ে হাড়ে টের পেল আফগানরা। দলের চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ের দিনে অল্প রানে জীবন পেলেন ম্যাক্মওয়েল। আফগান বোলারদের মৃত্যুকূপে দাঁড়িয়ে চোট নিয়েও ১২৮ বলে ১০ ছক্কা ও ২১ চারের মারে ২০১ রানের অপরাজিত বিস্ফোরক এক ইনিংস খেললেন। 

অজি এই তারকা ব্যাটারের অবিশ্বাস্য দ্বিশতকে ভর করে আফগানদের হৃদয়ভেঙে তৃতীয় দল হিসেবে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়া। খাদের কিনারা থেকে দলকে জয়ের স্বাদ দেওয়া ম্যাক্সওয়েল জিতে নেন ম্যাচসেরার পুরস্কারও।

মুম্বাইয়ের ওয়সংখেড়েতে আফগানদের দেওয়া ২৯২ রান তাড়া করতে নেমে ৯১ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। এরপরেই প্যাট কামিন্সকে নিয়ে সংগ্রাম শুরু করেন দ্য বিগ শো খ্যাত ম্যাক্সওয়েল। একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলেছেন ম্যারাথন এক ইনিংস। কামিন্সের সঙ্গে ৮ম উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ২০২ রানের জুটি গড়ে দলকে এনে দিয়েছেন অবিশ্বাস্য এক জয়। জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার দরকার যখন ২৩ বলে ২১ রান, দ্বিশতকের জন্য ম্যাক্সওয়েলেরও প্রয়োজন ছিল ২১। মুজিবের টানা চার বলে ছক্কা চারে দলকে কাঙ্ক্ষিত ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি অনেকগুলো মাইলফলক স্পর্শ করেন ৩৫ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান। 

গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের এই ইনিংস বিশ্বকাপ ইতিহাসের তৃতীয় দ্বিশতক। এ ছাড়া ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ ব্যাক্তিগত স্কোর। এছাড়াও ৬ষ্ঠ স্থানে ব্যাট নেমে যেকোন ব্যাটারের পক্ষেই সর্বোচ্চ স্কোরের ঘটনা এটি। 

অবশ্য গল্পটা অন্যভাবেও লেখা হতে পারতো। ৩৩ রানের মাথায় জীবন পান ম্যাক্নওয়েল। নুর আহমেদের বলে সুইপ খেলতে গিয়ে বল তুলে দেন আকাশে। ফাইন লেগে সহজ ক্যাচ হাতে জমাতে ব্যর্থ হন মুজিব। একই ওভারে রিভিউ নিয়েও বেঁচে গিয়েছিলেন। 

এফআই/এমএ