ইংল্যান্ড জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক কোচ সেন-গোরান এরিকসন জানিয়েছেন তার শরীরে বাসা বেঁধেছে মরণব্যাধী ক্যান্সার। তিনি আর হয়ত এক বছর বাঁচবেন। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সুইডিশ রেডিও স্টেশন পি১-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের ক্যান্সার ধরা পড়ার বিষয়টি জানিয়েছেন এই কিংবদন্তি কোচ।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, তারা আগেই একটি সূত্রের মাধ্যমে জানতে পেরেছিলেন সেন-গোরান এরিকসনের অগ্নাসয়ের ক্যান্সার ধরা পড়েছে।

তবে কিংবদন্তি এই কোচ এবারই প্রথমবার প্রকাশ্যে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার তথ্য জানিয়েছেন।

রেডিও স্টেশন পি১-কে তিনি বলেছেন, ‘সবাই দেখছেন আমার একটি রোগ রয়েছে যেটি ভালো নয় এবং সবার ধারণা এটি ক্যান্সার। কিন্তু যতদিন সম্ভব আমার লড়াই করতে হবে। আমি জানি খুব বেশি হলে এক বছর বাঁচব। খারাপ হলে এরচেয়ে কম সময়। আমি জানি না আমার চিকিৎসকরা পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারবে না। তারা এ ব্যাপারে একদিনের নিশ্চয়তাও দিতে পারে না।’

পরবর্তীতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এরিকসন জানিয়েছেন, গত বছর পাঁচটি ছোট স্ট্রোক করেন তিনি। এরপর তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তিনি জানতে পারেন তার দেহে ক্যান্সার রয়েছে। এর আগে কখনো এ ব্যাপারে কিছু টের পাননি। এমনকি তিনি সুস্থ স্বাভাবিক জীবন-যাপন করছিলেন।

এরিকসন ইংল্যান্ডের ‘স্বর্ণালী প্রজন্ম’ (গোল্ডেন জেনারেশন) দলের কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন। তার অধীনে খেলেছেন ডেভিড বেকহ্যাম, ওয়েন রুনি, স্টেভেন জেরার্ড, ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ড এবং রিও ফার্নান্দিদের মতো খেলোয়াড়রা। তিনি দুটি বিশ্বকাপ ও একটি ইউরোতে ইংল্যান্ডের কোচিং স্টাফের নেতৃত্বে ছিলেন। তার অধীনে ২০০৪ সালের ইউরো ও ২০০৬ সালের বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছিল থ্রি লায়ন্সরা। তবে দুটি আসরেই পর্তুগালের কাছে পেনাল্টি শুটআউটে ছিটকে গিয়েছিল ইংলিশরা। তিনি ইংল্যান্ড জাতীয় দলের প্রথম বিদেশি কোচ ছিলেন।

সূত্র: সিএনএন

এমটিআই