সানিয়া মির্জার সঙ্গে বিচ্ছেদের মাস কয়েকের মধ্যেই তৃতীয়বার বিয়ে করলেন পাক ক্রিকেটার শোয়েব মালিক। সম্প্রতি সামাজিকমাধ্যমে পাক অভিনেত্রী সানা জাভেদের সঙ্গে বিয়ের কথা জানিয়েছেন শোয়েব। তার পরই শোয়েব-সানিয়ার বিচ্ছেদ নিয়ে গত ১৫-১৬ মাসের জল্পনা শেষ হয়েছে। দু’জনের দাম্পত্য শেষ হলেও তাদের নিয়ে ক্রীড়াপ্রেমীদের আগ্রহ নতুন মাত্রা পেয়েছে।

বিচ্ছেদের পর সব থেকে বেশি প্রভাব পড়েছে সানিয়া-শোয়েবের ছেলে ইজহানের ওপর। বাবার বিয়ের কারণে দুবাইয়ের স্কুলে সহপাঠীদের কটাক্ষের শিকার হচ্ছে ছেলে। শেষে বড় সিদ্ধান্ত নিলেন ‘টেনিস সুন্দরী’।

বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের কারণে মানসিক চাপ পড়েছে সানিয়ার ছয় বছরের ছেলের ইজহানের ওপর। বিচ্ছেদের কারণে স্কুলে সহপাঠীদের কটাক্ষের শিকার হতে হচ্ছে তাকে। যার কারণে স্কুলে যাওয়া পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে ইজহান। ভারতে মায়ের কাছে চলে আসতে চাচ্ছে ইজহান। যার কারণে দুবাই ছেড়ে ছেলেকে ভারতের স্কুলেই ভর্তি করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সানিয়া মির্জা।

ছেলেকে নিয়ে এত দিন দুবাইতে থাকতেন সানিয়া। সেখানকার বিশ্বমানের স্কুলে পড়াশোনা করতো ইজহান।

এতকিছুর পরও সাবেক স্বামীর জন্য কল্যাণ কামনা করেন সানিয়া। তিনি বলেন, আমি শোয়েবের জন্য শুভকামনা করি। তার পরিবাবের সদস্যদের সবাই খুবই আন্তরিক ও ভালো মনের মানুষ। সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করব।

২০২২ সালের শেষ থেকেই আলাদা থাকতে শুরু করেন সানিয়া এবং শোয়েব। ২০২২ সালের শেষের দিকেই শোয়েবকে ‘খুলা’ দেন সানিয়া। বেরিয়ে আসেন বৈবাহিক সম্পর্ক থেকে। শরিয়ত আইন অনুযায়ী তালাক এবং খুলা— দুই পদ্ধতিতেই বিবাহবিচ্ছেদ হতে পারে। খুলা এমন একটি প্রথা, যা ব্যবহার করে মুসলিম মহিলারা তাঁদের স্বামীর থেকে একতরফা ভাবে আলাদা হতে পারেন। নারীদের অধিকার রক্ষার স্বার্থে এই প্রথা রয়েছে শরিয়ত আইনে। খারাপ ব্যবহার, যে কোনও রকম অবহেলার মতো বৈধ কারণ থাকলে নারীরা খুলা ব্যবহার করতে পারেন। স্বামী দীর্ঘ দিন সঙ্গে না থাকলেও খুলা দিতে পারেন নারীরা। এটি বিবাহবিচ্ছেদের প্রাথমিক ধাপ। যা আদালতের অনুমতি সাপেক্ষ।

এমএ