৮৪ দিনের ব্যবধানে আরও একবার বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া লড়াই। গেল নভেম্বরে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে ৬ উইকেটে হারিয়ে রেকর্ড ষষ্ঠ শিরোপা জিতেছিল প্যাট কামিন্সরা। এবার অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে।

স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে আগেই যুব বিশ্বকাপের ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারত। গতকাল শ্বাসরুদ্ধকর দ্বিতীয় সেমিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১ উইকেটের জয়ে ফাইনালে উঠে গেছে অস্ট্রেলিয়ার যুবারা। 

গতকাল (বৃহপতিবার) বেনোনিতে উপভোগ্য এক ম্যাচ দেখল ক্রিকেটপ্রেমীরা। পাকিস্তান শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ১৭৯ রানে সবকটি উইকেট হারিয়ে ফেলে। হাতের নাগালে থাকা টার্গেট তাড়ায় এক সময় ১৬৪ রানে ৯ উইকেট পড়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার। ফাইনাল থেকে পাকিস্তান তখন ছিল মাত্র ১ উইকেট দূরে। 

 

খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানকে ছিটকে দেয় অস্ট্রেলিয়া। শেষ উইকেটে তারা ১৭ রান তুলে ছিনিয়ে নেয় ম্যাচ। ২৪ রানে ৬ উইকেট নিয়ে ম্যাচের নায়ক টম স্ট্র্যাকার।

বৃহস্পতিবার টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক হিউ ওয়েবগেন। সেই সিদ্ধান্ত দারুণভাবে কাজে লাগান অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা। পাকিস্তানের ব্যাটারেরা শুরু থেকেই অস্বস্তিতে ছিলেন। ২৫ রানে তাদের প্রথম উইকেট পড়ে। ফিরে যান শামিল হুসেন। দু’রান পরেই ফিরে যান শাহজাইব খান। এরপর নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়তে থাকে। এক সময় ৭৯ রানে ৫ উইকেট পড়ে যায় পাকিস্তানের।

সেখান থেকে দলের পতন ঠেকান আজান ওয়াইস ও আরাফত মিনহাজরা। দু’জনে মিলে ষষ্ঠ উইকেটে ৫২ রানের জুটি গড়েন। দুজনই সমান ৫২ রান করে আউট হন। প্রথমে ফেরেন আজান। পরের দিকে টেলএন্ডারদের নিয়ে পাকিস্তানকে টানতে থাকেন মিনহাজ। তবে অর্ধশতরানের পরেই ফিরতে হয় তাকেও। পাকিস্তানের ইনিংস শেষ হয়ে যায় ১৭৯ রানে। পাকিস্তানের টপ অর্ডারকে একার হাতেই ধসিয়ে দেন টম স্ট্র্যাকার। তুলে নেন ৬ উইকেট। 

পাকিস্তানের মতোই ব্যাটিং ধসের মুখে পড়ে অস্ট্রেলিয়াও। ওপেনার স্যাম কোনস্টাস ১৪ রানে ফিরতেই তাসের ঘরের মতো ধস নামে। অপর ওপেনার হ্যারি ডিক্সনের সঙ্গে জুটি গড়েন অলিভার পিক। দু’জনে ৪৩ রান যোগ করেন পঞ্চম উইকেটে। এর পর টম ক্যাম্পবেলের (২৫) সঙ্গে পিকের ৪৪ রানের জুটি অস্ট্রেলিয়াকে অনেকটা এগিয়ে দেয়।

তবে পিক আউট হতেই বিপদে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। দলকে জেতানোর মতো আর কেউ ছিলেন না। আলি রাজার দাপটে ১৬৪ রানে অস্ট্রেলিয়ার ৯ উইকেট পড়ে যায়। পাকিস্তানের ড্রেসিংরুমে তখন উৎসব শুরু হয়ে গিয়েছিল। সেই উৎসব থামিয়ে দেন রাফ ম্যাকমিলান। ২৯ বলে তার ১৯ রানের ইনিংস শতরানের সমান কাজে দিলো এদিন। শেষ পর্যন্ত পড়ে থেকে অস্ট্রেলিয়াকে ফাইনালে তুলে মাঠ ছাড়েন তিনি।

এফআই/জেএ