অনেক সময় নিয়ে, যত্ন করেই নিজের দলকে সাজিয়েছেন লিভারপুলের জার্মান কোচ ইউর্গেন ক্লপ। ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডকে পরিণত করেছিলেন দূর্গের মতো করে। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের পর থেকে এই মাঠে হার দেখতে হয়নি অলরেডদের। ইউরোপা লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগের ম্যাচে তাই কিছুটা হলেও আস্থা রেখেছিলেন তরুণ দলটার প্রতি। 

কিন্তু, এমন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এসেই মৌসুমে নিজেদের সবচেয়ে বাজে পারফর্ম্যান্স করে বসল লিভারপুল। অ্যানফিল্ডে ইতালিয়ান ক্লাব আতালান্টার কাছে ৩-০ গোলে বলতে গেলে বিধ্বস্ত হয়েছে অলরেডরা। গোল ব্যবধান বিবেচনায় ইউরোপের শীর্ষস্থানীয় লিগগুলোর মধ্যে ঘরের মাঠে যৌথভাবে সবচেয়ে বড় হার এটি।

অবশ্য লিভারপুল যে ইউরোপা লিগ থেকে ছিটকে গিয়েছে তাও বলা যায় না। এখনো বাকি আছে ফিরতি লেগ। তবে সেটা খেলতে হবে ইতালি গিয়ে স্বাগতিক দর্শকদের সামনে। তাই সেকেন্ড লেগে গিয়ে কাজটা যে খুব সহজ হবে অলরেডদের জন্য তাও না। 

নিজের ঘরের মাঠে আতালান্টার বিপক্ষে এমন হারে ম্যাচ শেষে হতাশাই প্রকাশ করেন ক্লপ, ‘খুবই বাজে একটা ম্যাচ খেলেছি। আমাদের শুরুটা ভালো ছিল। খুবই ভালো। কিন্তু সেটা ধরে রাখতে পারিনি। ওরা গোল করেছে আর আমরা নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছি। মাঝমাঠে আমরা এখানে-সেখানে খেলেছি। আমিই চিনতে পারিনি।’

ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালে উঠতে হলে লিভারপুলকে এখন পরের লেগে অন্তত ৪-০ ব্যবধানে জিততে হবে। সেটা কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। যদিও লিভারপুল বসের ভাবনায় আপাতত সেই ম্যাচ নেই, ‘এখনই বলার সময় নয়। এক সপ্তাহ পরের ম্যাচ নিয়ে ভাবার অবস্থায় আমি নেই। এর মাঝে আমাদের আরও একটি ম্যাচ (ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে) আছে। অবশ্যই জেতার চেষ্টা করব। আমরা তো জিততেই চাই।’

ইউরোপা লিগে লিভারপুলের ৩-০ গোলে হারার দিনে বাকি ফেবারিটরা ঠিকই নিজ নিজ ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছে। নিজেদের মাঠে ইংলিশ ক্লাব ওয়েস্ট হামকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়েছে জার্মান ক্লাব লেভারকুসেন। এই নিয়ে চলতি মৌসুমে ৪২ ম্যাচ অপরাজিত জাবি আলোনসোর শিষ্যরা। অন্য দুটি ম্যাচের মধ্যে বেনফিকা ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে মার্শেইকে, রোমা ১-০ ব্যবধানে হারায় এসি মিলানকে।

জেএ