ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের ফুটবলে রয়েছে সোনালী অতীত। সেই অতীত পুরোটাই পুরুষ ফুটবল নির্ভর। তবে বর্তমানে পুরুষ ফুটবল অনেকটাই ব্যর্থতায় নিমজ্জিত। বাংলাদেশের ফুটবলে আলোকবতির্কা এখন সাবিনা খাতুন-মারিয়া মান্ডাদের হাতে। 

ছয় বছর পর নারী ফুটবল লিগ চলছে। সাবিনা-কৃষ্ণাদের নিয়ে গড়া বসুন্ধরা কিংস ইতোমধ্যে শিরোপা নিশ্চিত করেছে। বসুন্ধরা নারী ফুটবলে অভিষেক আসরেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তবে চলমান নারী লিগে সবচেয়ে ব্যতিক্রম বিষয়টি হচ্ছে রেফারিং। এবারই প্রথম মহিলা ফুটবলের সকল ম্যাচ নারী রেফারিরাই চালিয়েছেন। 

বাফুফের রেফারিজ বিভাগের ডেপুটি চেয়ারম্যান ও সাবেক ফিফা রেফারি ইব্রাহিম নেসার নারী রেফারিদের পারফরম্যান্স সম্পর্কে বলেন,‘আমরা রেফারিং বিভাগ এবার একটু চ্যালেঞ্জই নিয়েছি। ৩০ জন নারী রেফারি এখন পর্যন্ত লিগের ম্যাচগুলো চালিয়েছে। প্রায় সব ম্যাচেই তারা ভালো বাশি বাজিয়েছি। নারীদের প্রতিযোগিতা আরো বাড়লে রেফারিদের আত্মবিশ্বাসও বাড়বে।’

নারী ফুটবলে রেফারিংয়ের অগ্রপথিক জয়া চাকমা। যিনি টানা দ্বিতীয় বছর ফিফা রেফারি হয়েছেন। জয়া চাকমার বিশ্লেষণ,‘নারী ফুটবলারদের মতো রেফারিরাও উন্নতি করছে। আমার মতো আরো অনেক নারী ফিফা ব্যাজধারী হবে সেই আশা করি।’  

জাতীয় নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের প্রতিক্রিয়া,‘সত্যি বলতে এবারের লিগটি পুরোপুরি নারীময় মনে হয়েছে। নারী রেফারিরা দারুণ সিদ্ধান্ত দিয়েছে। এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখা উচিত।’

এবারের চলমান লিগে সর্বকনিষ্ঠ রেফারি অস্টম শ্রেণির ছাত্রী তাহমিনা। তাহমিনার মন্তব্য,‘এর আগে সাংবাদিকদের ও অন্য টুর্নামেন্ট পরিচালনা করেছি। তবে নারীদের সর্বোচ্চ পর্যায়ে লিগ চালাতে প্রথম দিকে একটু ভয় কাজ করছিল। পরের ম্যাচগুলোতে স্বাভাবিকভাবেই বাঁশি বাজিয়েছি।’

বাফুফে সদস্য ও রেফারিজ কমিটির চেয়ারম্যান জাকির হোসেন চৌধুরি বলেন,‘লিগের এখনো কয়েকটি ম্যাচ বাকি। আমরা একটি সভা করে পারফরম্যান্স পর্যালোচনা করব। নারী রেফারিংয়ে উন্নতির জন্য আমরা এএফসি’র অধীনে প্রশিক্ষণ আয়োজন করব। প্রয়োজন হলে দেশের বাইরেও পাঠাব।’

এজেড/ এমএইচ