অভিষেক বলুন বা প্রত্যাবর্তন, গোল করাটা তো ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর অভ্যাসই। ইয়াং বয়েজের বিপক্ষে সে অভ্যাসটা ধরে রাখলেন তিনি। তবে এরপরও দ্বিতীয়ার্ধে দুই গোল হজম করে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড মাঠ ছাড়ল বিরস বদনে৷ 

ইউনাইটেডে দ্বিতীয় দফায় আসার পর আগের ম্যাচে ঝলমলে এক অভিষেকই হয়েছিল রোনালদোর। করেছিলেন জোড়া গোল, তাতে দলও পেয়েছিল বড় জয়। অভিষেকে আলো ছড়ানোর ধারাটা পর্তুগিজ কিংবদন্তি ধরে রাখলেন এদিনও। ১৩ মিনিটে ব্রুনো ফের্নান্দেজের বাড়ানো বল থেকে করলেন গোল। তখন মনে হচ্ছিল আরও একটা গোল উৎসবেই বুঝি পরিণত হচ্ছে ম্যাচটা। ইউনাইটেড আক্রমণভাগের ব্যর্থতায় সেটা হয়নি আর। 

তবে যেটা হলো, তা ইউনাইটেডকে দুর্দশাতেই ফেলেছে কেবল। ৩৫ মিনিটে অ্যারন ওয়ান বিসাকা দেখলেন লাল কার্ড, রেড ডেভিলরা পরিণত হয় দশ জনের দলে৷ 

সে সুযোগটা স্বাগতিক ইয়াং বয়েজ কাজে লাগিয়েছে ভালোভাবেই। দ্বিতীয়ার্ধে  করেছে দুটো গোল, ইউনাইটেডের মুঠোয় চলে যাওয়া ম্যাচটা বের করে নিয়েছে দারুণভাবেই। যার শুরুটা হয় ৬৬ মিনিটে, মউমি এনগামালেউয়ের গোল থেকে। সতীর্থের ক্রস থেকে দারুণ এক শটে গোলটি করেন তিনি।

ইউনাইটেড কোচ ওলে গুনার সোলশায়ার এরপরই রোনালদোকে তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। মাঠে এনেছিলেন জেসে লিংগার্ডকে। সেই লিংগার্ডেরেক ভুলেই ম্যাচের ফলাফলটা পুরোপুরি বেরিয়ে যায় ইউনাইটেডের মুঠো গলে। অন্তিম সময়ে তার ভুল ব্যাকপাস থেকেই বক্সে বল পেয়ে গোলটা করেন থিওসন দিয়াবাচেও। তাতেই হার নিশ্চিত হয়ে যায় ইউনাইটেডের। 

এনইউ