আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ দল ওয়ানডে সিরিজ জিতলেও দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স একেবারেই জুতসই ছিল না। এক ম্যাচে মুশফিক রহিম রান পেলেও ব্যাট হাতে একেবারেই সুবিধা করতে পারেননি তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তামিম টি-টোয়েন্টিতে নেই, সাকিব বল হাতে ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ? দুই ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে তো অধিনায়ক রিয়াদের বাড়তি দায়িত্ব।

কুঁড়ি ওভারের ফরম্যাট শুরুর আগে আজ (বুধবার) মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে রিয়াদ জানালেন, ব্যাট হাতে নেমে প্রথম বল থেকেই বাউন্ডারি মারবেন তিনি।

মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘আমি ইনশাআল্লাহ্‌ কাল প্রথম বল থেকেই মারব। চার মারার চেষ্টা করব, ছক্কা মারার চেষ্টা করব।’

ওয়ানডে সিরিজে রিয়াদের ব্যাটিং বেশ প্রশ্নবিদ্ধ। ৩ ম্যাচে মোটে ১টি বাউন্ডারি এসে তার ব্যাট থেকে। সিরিজ শেষে কাঠগড়ায় তার ব্যাটিংয়েত ধরণ। সিরিজের প্রথম ম্যাচে টাইগারদের ১৮ রানে ৪ উইকেট পড়ার পর ছয় নম্বরে নামেন তিনি। ১৭ বল খেলে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে এক বাউন্ডারিতে করেন ৮ রান। দল পড়ে বিপদে। দ্বিতীয় ম্যাচে স্লগ ওভারে তখন ছিল কেবলই দ্রুত রান আনার চাহিদা। কিন্তু মাহমুদউল্লাহ ৯ বল খেলে মারতে পারেননি কোন বাউন্ডারি। করতে পারেন কেবল ৬ রান। 

শেষ ম্যাচেও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্যাট করতে নামেন। তখন ২৯তম ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে দলের সংগ্রহ ১২৫ রান। কিন্তু এসেই খেলতে থাকেন একের পর এক ডট বল। অন্য প্রান্তে আরেক পাশে সেট ব্যাটার লিটনের ওপর তাতে বেড়ে যায় চাপ। পরে লিটন রান বাড়াতে গিয়ে আউট হন ব্যক্তিগত ৮৬ রানে। পরে ইনিংসের বাকি সময় ক্রিজে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। খেলেছেন ৫৩ বল। কিন্তু কোন বাউন্ডারি ছাড়া করেন ২৯ রান।

দলের নিজের অবস্থান নড়বড়ে হয়ে যাচ্ছে না তো মাহমুদউল্লাহর? উত্তরে তিনি বলেন, ‘প্রথমত আমি আপনাকে প্রশ্ন করতে চাই, আপনার কোনো সংশয় আছে, আমার অবস্থান নিয়ে? না, আলহামদুলিল্লাহ্‌ আমার কোনো সংশয় নেই। আমার মনেহয় যে আমি রাইট ট্র্যাকে আছি।’

সঙ্গে যোগ করেন মাহমুদউল্লাহ, ‘প্রবাবলি আই নিড টু হিট সাম গুড বল। ইনশাআল্লাহ্‌ আই উইল বি ব্যাক অন রাইট ট্র্যাক। কারণ হয়তোবা আমার কাছে দলের চাহিদা ওরকম থাকে। এই ওয়ানডে ম্যাচগুলোতে হয়তোবা আমি ওভাবে ডেলিভার করতে পারিনি। আমি চেষ্টা করব। আমার ওপর যে এক্সপ্রেকটেশন দলের, আমি চেষ্টা করব পূরণ করতে।’ 

টিআইএস/এমএইচ