বাইশ গজের লড়াইয়ে ঘরের মাঠে ভিন্ন চেহারায় দেখা যায় বাংলাদেশ দলকে। বিশ্বের বড় বড় দলগুলোকে টাইগাররা নাকানি-চুবানি খাওয়ায়  অবলীলায়। তবে দেশের বাইরে পা ফেললেই রীতিমত ভুগতে হয়ে অস্তিত্বের সংকটে। যেখানে জয় হয়ে যায় সোনার হরিণ! সে আক্ষেপ অবশ্য আস্তে আস্তে ঘুচতে শুরু করেছে, সম্প্রতি ভারত আর নিউজিল্যান্ডে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ দল। এবার লক্ষ্য দক্ষিণ আফ্রিকায় জয়ের স্বাদ পাওয়া।

দক্ষিণ আফ্রিকায় ৩ ম্যাচের একটি ওয়ানডে সিরিজের সঙ্গে ২ ম্যাচের একটি টেস্ট সিরিজ খেলবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এর আগে সেখানে খেলা দ্বিপাক্ষিক সিরিজের ১৯ ম্যাচে কোনো জয় পায়নি বাংলাদেশ। ৬টি টেস্ট খেলে হার সবগুলোতে। জয় নেই ৯ ওয়ানডের একটিতেও। এবার এই আক্ষেপ ঘোচাতে মরিয়া সফরকারীরা। আগামী শুক্র আর শনিবার দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ দল। যাওয়ার আগে পেসার তাসকিন আহমেদ জানালেন, সেখানে অন্তত একটি ম্যাচ জয়ের নায়ক হতে চান তিনি।

বৃহস্পতিবার মিরপুরে সংবাদমাধ্যমকে তাসকিন বলেন, ‘নিজের আয়ত্বের মধ্যে থেকে সেরাটা দিতে চাই। খুব ইচ্ছা, ম্যাচ জেতানোতে যেন আমার ভূমিকা থাকে বা আমি একটা ম্যাচ জেতাতে পারি, ভালো কিছু করতে পারি- এটাই লক্ষ্য।’

সাকিব আল হাসান না থাকায় দলের বোলিং বিভাগ কিছুটা শক্তি হারিয়েছে। তবে সম্প্রতি দেশের বাইরে পেসাররা যেভাবে পারফর্ম করছেন, তাতে আত্মবিশ্বাসে বাড়তি রসদ পাচ্ছেন তাসকিন।

তাসকিন বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে গত ১-২ বছর ধরে পেস বোলিং ডিপার্টমেন্ট ধারাবাহিকভাবে উন্নতি করছে। আশা করছি এই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে সামনে এশিয়া কাপ, বিশ্বকাপ, ওয়ানডে বিশ্বকাপে যেন ভূমিকা রাখতে পারি এটাই আমাদের লক্ষ্য। সিরিজ বাই সিরিজ নিজেদের ভুল শুধরে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি।’

যোগ করেন তাসকিন, ‘ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রপার স্পোর্টিং উইকেট। ওসব জায়গায় বোলার-ব্যাটসম্যান দুইজনেরই ভালো করার সুযোগ থাকে। ওখানে চ্যালেঞ্জ আরও বেশি। ইভেন বাউন্স থাকে, সুন্দরভাবে ক্যারি করে, ঠিক লাইন-লেন্থে বল না করলে আবার রান লিক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সুবিধা আছে, তবে একইসাথে আরও বেশি নিখুঁত হতে হবে।’

টিআইএস/এটি/এনইউ