ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে দুই মৌসুম পর বিদেশি ক্রিকেটার খেলানোর ছাড়পত্র পেয়েছে ক্লাবগুলো। তবে এবার খুব বেশি তারকা খেলোয়াড় নেই। ১১ ক্লাবের বিদেশিদের তালিকায় বড় নাম পাকিস্তানের মোহাম্মদ হাফিজ। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে খেলতে বাংলাদেশে এসেছে এই অলরাউন্ডার। এর আগে পাকিস্তানের হয়ে আন্তর্জাতিক সিরিজ খেলতে বেশ কয়েকবার বাংলাদেশে এসেছেন হাফিজ। শুনেছেন মোহামেডানের নাম আর জৌলুশ। এবার খেলার প্রস্তাব পেয়ে লুফে নিয়েছেন তিনি।

মোহামেডানের হয়ে খেলতে এসে সংবাদমাধ্যমকে হাফিজ বলেন, ‘সত্যি বলতে, এই ঐতিহাসিক ক্লাবের অংশ হতে পেরে আনন্দিত। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে যতবারই এসেছি ততবারই এই ক্লাবের কথা শুনেছি। মানুষের মুখে মুখে এই ক্লাবের নাম। আমি যখন প্রস্তাব পেয়েছি, আমি অ্যাভেইলেভেলও ছিলাম, মনে হলো এই ঐতিহাসিক ক্লাবটির অংশ হওয়ার এটাই সুযোগ এবং এখানকার ভালোমানের ক্রিকেটের অভিজ্ঞতা নেওয়া উচিত। আমি জানি এখানে সব সময়ই দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বীতা হয়।’

২০০৯-১০ মৌসুমের পর আর ডিপিএলের শিরোপা জেতা হয়নি সাদা-কালোদের। এবার সে আক্ষেপ ঘোচাতে বেশ তারকাখচিত দল গড়েছে ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান। জাতীয় দলের অধিকাংশ তারকা খেলোয়াড়দের দলে টেনেছে তারা। সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সৌম্য সরকার, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, আবু জায়েদ রাহিদে সঙ্গে বিদেশি কোটায় খেলবেন হাফিজ। শিরোপা জেতার ভালো সুযোগ দেখছেন পাকিস্তানি অলরাউন্ডার।

হাফিজ বলেন, ‘আমরা বেশ কিছু খেলোয়াড়কে আমরা শুরুতে পাচ্ছি না। তারা সফরে গেছে। তবে দ্রুতই তারা আবার ফিরে আসবে। এখন পর্যন্ত আমাদের যা আছে, আমি মনে করি তরুণদের নিজেদের মেলে ধরার এবং সামর্থ্য দেখানোর সেরা সুযোগ। পাশাপাশি অন্য দলগুলোও নিজেদের তরুণ ক্রিকেটারদের উঠিয়ে আনতে বড় সুযোগ পাচ্ছে। দল হিসেবে আমরা যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী যে ভালো ক্রিকেট খেলতে পারব। দলে কিছু আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড়ও আছে।’

সঙ্গে যোগ করেন হাফিজ, ‘দলে কয়েকজন ভালো খেলোয়াড়ও আছে। তাদের সঙ্গে মোহামেডানে আনন্দ নিয়ে খেলতে মুখিয়ে আছি। আপনি চ্যাম্পিয়ন হবেন তা বলে দিতে পারবেন না। ব্যক্তিগতভাবে আমি বিশ্বাস করি আমাদেরকে মাঠে ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। আমি আগাম ঘোষণা দিয়ে কোনো কিছু করতে পছন্দ করি না। আমি মাঠে পরিশ্রম করি। দলগতভাবে ভালো খেলতে মুখিয়ে আছি।’ 

টিআইএস