নিজে সেঞ্চুরি করেছেন, খেলেছেন ১০৫ রানের অপরাজিত ইনিংস। ১০৩ বলের ইনিংসটি সাজিয়েছেন বাউন্ডারি আর ওভার বাউন্ডারিতে। যেখানে ১৩টি চারের সঙ্গে ছয় হাঁকিয়েছেন ২টি। জিতেছে তার দল প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। ৮৬ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাবকে। তবে নিজের সেঞ্চুরি নিয়ে স্বস্তি থাকলেও আক্ষেপে পুড়ছেন নাসির।

ইনিংসের ৪২তম ওভারে ফরহাদ রেজার করা পঞ্চম বলটি থার্ডম্যান অঞ্চল দিয়ে সীমানার বাইরে ফেলে ৪ রান তুলে সেঞ্চুরির কোটা পূর্ণ করেন নাসির। এর পরের বলে ২ রান নিতে গিয়ে ইনজুরিতে পড়েন। পায়ের পেশিতে ক্র্যাম্প হয়। এতে মাঠ থেকে উঠে যেতে হয় তাকে। ১০৪ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন নাসির। তিনি যখন উঠে যান, তখনো ইনিংসের বাকি ৮ ওভার। পরে অবশ্য আবার ব্যাট হাতে নামেন। ইনিংসের শেষ ওভারে নেমে খেলেন মোটে ১ বল। করেন ১ রান।

নাসিরের আক্ষেপ এখানেই। ‘রিটায়ার্ড’ হয়ে তখন মাঠ না ছাড়লে আরো ৮ ওভার খেলতে পারতেন। এতে সেঞ্চুরিকে দেড়শ রানের ইনিংসে রূপ দেওয়ার সুযোগটাও থাকতো। ম্যাচ শেষে আক্ষেপ নিয়ে নাসির বলেন, ‘একশ হয়েছে, তবে যেরকম উইকেট ছিল, ১৪০ বা দেড়শ করাও সম্ভব ছিল। যখন ক্র্যাম্প করেছে তখন ৮ ওভার বাকি ছিল। ৮ ওভার ব্যাটিং করলে হয়ত আরও ৪০-৫০ রান করা সম্ভব হত।’

এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন নাসির, ‘আমার হাতে যেটা আছে, আমি চেষ্টা করতে পারি রান করার। অনেক সময় হয় না। ইচ্ছা তো আছে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হব। এখনও এই ইচ্ছা আছে। সেই ইচ্ছা পূরণ করার জন্য আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করব শতভাগ।’

বিকেএসপিতে এদিন নাসিরের আগে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন প্রাইম ব্যাংকের ওপেনার এনামুল হক বিজয়। ১২৫ বলে ১২৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। যেখানে সমান ৮টি করে চার-ছয় মারেন বিজয়। দুই জনের শতকের উপর ভর করেই ৫০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ৩১৪ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় প্রাইম ব্যাংক।

পরে জবাব দিতে নেমে সুবিধা করতে পারেনি রূপগঞ্জ টাইগার্স। অপরাজিত বাবা ৭৯ ও জাকির হাসান ৬৩ রান ছাড়া বাকিরা নিজেদের ইনিংস বড় করতে পারেননি। এতে রূপগঞ্জের ইনিংস থামে ২২৮ রানে। ৮৬ রানের বিশাল জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে প্রাইম ব্যাংক। প্রাইম ব্যাংকের হয়ে রাকিবুল ৪ ও অলক কাপালি নেন ৩ উইকেট।

টিআইএস/এনইউ