ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের (ডিপিএল) সবশেষ তিন আসরের চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লিমিটেড। হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়নরা এবার টানা চতুর্থবারের মতো শিরোপা ঘরে তুলতে ঢাকা লিগ শুরু করেছে। তবে এবারের আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই ধাক্কা খেয়েছে আবাহনী। হেরেছে নবাগত রূপগঞ্জ টাইগার্সের বিপক্ষে। এই হারের পর দলের শক্তিমত্তা নিয়ে চলছে চুলচেরা আলোচনা। 

গত আসরের একাধিক সিনিয়র ক্রিকেটারকে এবার দলে রাখতে পারেনি আবাহনী। জাতীয় দলের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন যে কয়েকজন ক্রিকেটার আছেন, তাদের মধ্যে অনেকেই এখন বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলতে দক্ষিণ আফ্রিকায় গেছেন। নাঈম শেখ, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, আফিফ হোসেন ধ্রুব, মাহমুদুল হাসান জয় ও শহিদুল ইসলামরা না থাকায় কী খর্ব শক্তির দলে পরিণত হলো অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেনের আবাহনী?

তেমনটি অবশ্য মানতে নারাজ মোসাদ্দেক। মিরপুরে আজ (রোববার) সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বললেন, ‘সিনিয়র বলতে এখানে আমরা যারা খেলি, আমাদের দলে যারা আছে, গত পাঁচ-সাত বছর তারা ঢাকা লিগ খেলে এবং অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ক্রিকেটার। এখানে সিনিয়র-জুনিয়র খুব বেশি ম্যাটার করে বলে আমি মনে করি না। আমাদের যে পারফর্মারগুলো আছে, দল হিসেবে আমরা যদি পারফর্ম করতে পারি তাহলে আমি মনে করি যে তাহলে আমরা খুবই ভালো ক্রিকেট খেলতে পারব এবং আমরা যে রেজাল্টগুলো চাই, সেগুলো ফড়ে আনতে পারব।’

এক ম্যাচ হেরেই সব শেষ হয়ে যায়নি বলে মনে করেন মোসাদ্দেক, ‘এটা তো অনেক বড় একটা টুর্নামেন্ট। আমাদের মাত্র একটা ম্যাচ গেছে, আরো অনেক ম্যাচ বাকি আছে। আমরা ম্যাচ বাই ম্যাচ এগোতে চাই। আপনারা যদি দেখেন, কাগজে-কলমে বড় দুই-তিনটা দলের মধ্যে আমাদের একটা। বড় দলগুলো তো চাইবে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য খেলতে, অবশ্যই আমরা সেই লক্ষ্য নিয়েই এগোচ্ছি। একটা ম্যাচ হারেছি মানেই এই না যে সব শেষ হয়ে গেছে আমাদের।’

সূচিতে ডিপিএপের দুই পর্বের খেলা শেষ হলেও একমাত্র আবাহনী খেলেছে মাত্র একটি ম্যাচ, সে ম্যাচটি ছিল মিরপুরে। লিগের বাকি চার রাউন্ডে মিরপুরে আর কোনো খেলা নেই। আবাহনীর ম্যাচের ভেন্যু বিকেএসপি। ইউটিউবে বিকেএসপি ম্যাচের খেলা দেখে উইকেট সম্পর্কে ধারণা নিচ্ছেন মোসাদ্দেক।

মোসাদ্দেক বললেন, ‘বিকেএসপিতে খেলা এতদিন আমরা ইউটিউবে দেখলাম। আমরা যা দেখলাম যে ওই কেকটা মাশাআল্লাহ খুবই ভালো আছে এবং স্কোরিং উইকেট। আমরা যদি মনে করি আমাদের দিনে সেরাটা খেলতে পারি তো আমরা অবশ্যই ভালো কিছু করতে পারবো ইনশাআল্লাহ্‌।’

টিআইএস/এটি