ম্যাচসেরার পুরস্কার হাতে লাবণ্য কেনি/টুইটার

টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ডাকওয়ার্থ লুইস স্টার্ন পদ্ধতিতে ফলাফল পেতে অন্তত ৫ ওভার খেলতে হয়। সংযুক্ত আরব আমিরাত দল যে পর্যন্ত অপেক্ষা করেনি। ম্যাচ শেষ করেছে দুই ওভারেরও এক বল কম খেলে। সম্প্রতি জিসিসি উইমেনস টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে এমন নজির গড়ে দেখিয়েছে দলটি, এক দশম শ্রেণির ছাত্রীর বিশ্বরেকর্ডের সুবাদে গতকাল সৌদি আরবের নারী ক্রিকেট দলকে হারিয়েছে ১০ উইকেটের ব্যবধানে। 

ওমানের আল আমেরাত ক্রিকেট গ্রাউন্ডে গতকাল বৃহস্পতিবার টুর্নামেন্টের ১১তম ম্যাচে টসভাগ্য সঙ্গী হয় আমিরাতের। নেয় ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত।

তবে ব্যাট করতে নেমে ত্রাহি মধুসূদন দশা হয় সৌদি আরবের। ৬, ১, ২, ০, ০, ১, ৫, ০, ০, ০, ০... এই ছিল সৌদি আরবের ১১ ব্যাটারের রান। তাতে ১২.৩ ওভারে দলটি মাত্র ২৫ রানে অলআউট হয়ে যায়। 

আমিরাতে হয়ে হ্যাটট্রিক করেন ১৫ বছরের লাবণ্য কেনি, যিনি এখনো স্কুলের গণ্ডিই পেরোতে পারেননি। এই মুহূর্তে তিনি পড়ছেন দশম শ্রেণিতে। সর্বকনিষ্ঠ বোলার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হ্যাটট্রিক করার বিশ্বরেকর্ড গড়েন তিনি। তিনি ২ ওভারে ৩ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট নেন। এছাড়া ২ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন সুরক্ষা কোট।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে আমিরাতকে খেলতে হয় মাত্র ১১ বল। ১.৫ ওভারে কোনও উইকেট না হারিয়েই জয়ের জন্য ২৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ফেলে দলটি। বল হাতে ইতিহাস গড়া লাবণ্য ওপেন করতে নামেন আমিরাতের। ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে তিনি ৭ বলে ১২ রান করে অপরাজিত থাকেন। তার সঙ্গী সামায়রা ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৪ বলে ৭ রান করেন। ৭ রান আসে অতিরিক্ত খাত থেকে। ইতিহাস গড়া লাবণ্যই হয়েছেন ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়।

মাত্র পাঁচ দিন আগে টুর্নামেন্টের তৃতীয় ম্যাচে সবচেয়ে কম বলে জেতার কীর্তি গড়েছিল কুয়েত। সেটাও হয়েছিল এই সৌদি আরবের বিপক্ষেই, সেদিন ১৩ বলে ম্যাচ জিতেছিল কুয়েত। তার এক সপ্তাহ না পেরোতেই আজ সেই রেকর্ড ভেঙে দিলো আমিরাত।