৯৬ রানে নেই ছয় উইকেট, ১২৮ রানে বিদায় সপ্তম ব্যাটারেরও। ইংল্যান্ডের করা ২০৪ রানকে তখন পাহাড়সম বলেই মনে হচ্ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য। তবে এরপর লেজের ব্যাটারদের নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে বসেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার জশুয়া দা সিলভা। তার ফিফটি, সঙ্গে দুই টেলএন্ডার আলজারি জোসেফ আর কেমার রোচের বিশের ঘরের দুই ইনিংসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষ সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে লিড পেয়েছে উইন্ডিজ। 

আগের দিন ইংলিশদের রীতিমতো বিপদেই ফেলে দিয়েছিল উইন্ডিজ। ১১৪ রানে ৯ উইকেট হারানো ইংলিশরা শেষমেশ ২০০ ছাড়ানো সংগ্রহ পায় ১০ আর ১১ নম্বরে নামা জ্যাক লিচ আর সাকিব মাহমুদের কল্যাণে। ইংলিশদের মতো না হলেও উইন্ডিজ প্রায় কাছাকাছি ধরনের বিপদেই পড়ে গিয়েছিল গত রাতে। 

ওপেনিং জুটিতে ৫০ তোলার পরই শুরু ইংলিশ ধ্বংসযজ্ঞের। ৫০-০ থেকে উইন্ডিজের স্কোরবোর্ড ৯৫-৬ হয়ে যায় আধ সেশনের ব্যবধানেই। ব্যর্থ হয়েছেন আইপিএলে প্রায় ১০ কোটি টাকায় লখনউ সুপার জায়ান্টসে যোগ দেওয়া জেসন হোল্ডার। আগের টেস্টেই সব থেকে বেশি বল খেলে ব্রায়ান লারার রেকর্ড ভাঙা ক্রেইগ ব্রাথওয়েটও ব্যর্থ হয়েছেন।

তখনই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ব্যাট হাতে নির্ভরতা এনে দেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার জশুয়া দা সিলভা। কাইল মেয়ার্সকে নিয়ে শুরু তার লড়াইয়ের। তবে দলীয় ১২৮ রানে সপ্তম ব্যাটার হিসেবে তিনিও বিদায় নেন। এরপর লেজের ব্যাটাররা সঙ্গী হয় তার। আলজারি জোসেফকে সঙ্গে নিয়ে তিনি গড়েন ৪৯ রানের জুটি। ১৭৭ রানে তিনিও বিদায় নিলে লিড নেওয়াটা কিছুটা শঙ্কাতেই পড়ে যায় উইন্ডিজের। 

তবে এরপর কেমার রোচকে সঙ্গে নিয়ে সে শঙ্কা বিদায় করেন সিলভা। দিন শেষে অবিচ্ছিন্ন ৫৫ রানের জুটি নিয়ে দুজন যখন ফিরছেন, ততক্ষণে উইন্ডিজের খাতায় জমা হয়ে গেছে মহামূল্য ২৮ রানের লিড। সিলভা ৫৪ আর রোচ অপরাজিত আছেন ২৫ রান নিয়ে।

আগের দুই টেস্টে শেষ দিনে ড্র করেছিল উইন্ডিজ। তবে চলতি টেস্টে দুই দিনেই হাওয়া হয়ে গেছে ১৮ উইকেট। উইকেটের ধরন যেমন, তাতে খেলা যে ৫ দিনে গড়াচ্ছে না, তা একরকম বলাই যায়।

এনইউ/এটি