ছবি: সংগৃহীত

প্রথম টেস্টে চার স্পিনার, দ্বিতীয়টিতে তিনজন। তবুও বদলায়নি পেসারের সংখ্যা, খেলেছেন একজন। তবে তাতে সাফল্যের দেখা মেলেনি। চাপা পড়েনি বোলিংয়ের হতশ্রী দশা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের মতো দ্বিতীয়টিতেও বাংলাদেশের বেহাল অবস্থা। 

প্রথম দিনশেষে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ক্যারিবীয়ানরা তুলেছে ২২৩ রান। সফরকারীদের পাঁচ উইকেটের তিনটি নিয়েছেন দুই পেসার সৌম্য সরকার ও আবু জায়েদ চৌধুরি। বাকি দুইটি নিয়েছেন স্পিনাররা। 

তবে স্পিনাররা বল করেছেন ৬৪ ওভার, পেসাররা ২৬টি। অল্প সুযোগে পেসারদের এমন সাফল্যে খুশি বাংলাদেশ দলের পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসন। তবে বাংলাদেশকে পেসারদের খেলাতে আরও সাহসী হতে হবে বলে মনে করেন তিনি।

গিবসন বলেন, ‘পেস বোলিং কোচ হিসেবে অবশ্যই আমার ভালো লাগত আরও দু-একজন পেস বোলার খেলাতে পারলে। কিন্তু এই মুহূর্তে তা কঠিন, বাস্তবতার কারণেই আমরা এক পেসার খেলাচ্ছি। তবে আমার মনে হয়, আজকের কন্ডিশন দেখিয়ে দিয়েছে যে, কখনও কখনও এমনকি বাংলাদেশেও দুই জন পেসার খেলানোর সাহসী সিদ্ধান্ত আমাদের নিতে হবে।’

ওয়েস্ট সিরিজের আগে গত বছর জিম্বাবুয়ে সিরিজে সর্বশেষ দুই পেসার খেলিয়েছিল বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে একাদশে ছিলেন আবু জায়েদ ও এবাদত হোসেন চৌধুরি। রাহি নিয়েছিলেন চার উইকেট। এর আগে ২০১৯ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে কোনো পেসার ছাড়াই একাদশ সাজিয়েছিল বাংলাদেশ। 

এমএইচ/টিআইএস/এটি