ডারবান টেস্টে মাহমুদুল হাসান জয় ব্যাট হাতে একাধিক রেকর্ড গড়েছেন। নিজের তৃতীয় টেস্ট খেলতে নেমে শতক তুলে নেওয়া এই তরুণ ওপেনার নিজের ধৈর্যের প্রদর্শনীর পাশাপাশি ধৈর্য পরীক্ষা নিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের। প্রায় ৬ ঘণ্টা ক্রিজে থেকে খেলেছেন ৩২৬ বলে ১৩৭ রানের ইনিংস। এই সেঞ্চুরি আর দুর্দান্ত ইনিংসকে বিশেষ কিছু বলছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ব্যাটিং পরামর্শক জেমি জিডন্স।

তৃতীয় দিনের খেলা শেষে সিডন্স জানালেন, জয়ের ইনিংস বাংলাদেশের দলের তরুণ খেলোয়াড়দের জন্য একটি বার্তা। এখন থেকে তরুণদের কাছ থেকে এমন আরো বেশি ইনিংস উপহার চান এই অস্ট্রেলিয়ান কোচ।

সিডন্স বলেন, ‘আমরা সবাই ওর (জয়) পারফরম্যান্সে গর্বিত। পুরো ইনিংসটিই ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য বিশেষ কিছু। আমার মনে হয় না এর চেয়ে ভালো টেস্ট ইনিংস খুব বেশি আছে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের। ওর ধৈর্যটা আমার চোখে পড়েছে। আমাদের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে এই ধৈর্যটা তেমন দেখা যায় না। সব সময়ই আলগা ব্যাটিং দেখা যায়।’

জয় দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে এই সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে করেছেন একাধিক রেকর্ড। এর আগে প্রোটিদের বিপক্ষে টেস্টে কোনো সেঞ্চুরি ছিল না বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের। সে আক্ষেপ ঘোচানোর পাশাপাশি খেলেছেন প্রোটিয়াদের বিপক্ষে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। যে ৩২৬ বল মোকাবিলা করেছেন জয়, সেটিও উঠেছে রেকর্ড বইয়ে। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় তো বটেই এশিয়ার বাইরে এতো বল খেলা স্মৃতি নেই টাইগার ব্যাটসম্যানদের।

জয়ে ব্যাটিংয়ে বিস্মিত সিডন্স বললেন, ‘জয় ওদের ফিল্ডারদের নিয়ে খেলেছে। সে ওভার দ্য টপে খেলেছে। তাকে তুলে মারতে দেখে দক্ষিণ আফ্রিকা যখন ফিল্ডার পেছনে নিয়েছে, তখন সে বল ঠেলে এক রান নিয়েছে। ফিল্ডিং নিয়ে খেলা, ধৈর্য নিয়ে বাজে বলের অপেক্ষা করা এবং নিজের ওপর ছয় ঘণ্টা ব্যাটিং করার বিশ্বাস রাখা—এটাই সব তরুণকে বলছি। জয়ের ইনিংসের পর আমরা এখন ওদের কাছ থেকে আরও বড় বড় ইনিংস প্রত্যাশা করতে পারি।’

টিআইএস/এনইউ/এটি