অফ স্পিনার সাইমন হারমারকে সুইপ করে বাউন্ডারি মেরে নিজের ফিফটি পূর্ণ করেন মুশফিকুর রহিক। এর পরেই যেন মনোযোগ হারিয়ে বসলেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। এক বল পর রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বিপদ বাড়ালেন। আউট হয়ে ধরলেন প্যাভিলিয়নের পথ। সে সময় দলের ত্রাতা হয়ে উইকেটে টিকে ছিলেন মুশফিক। তার ব্যাটেই ফলোঅন কাটানোর স্বপ্ন বুনেছিল সফরকারীরা। কিন্তু মুশফিকের অমন ‘কাণ্ডজ্ঞানহীন’ আউটের পর আর ফলোঅন এড়াতে পারেনি টাইগাররা।

যদিও বাংলাদেশ দলকে ফলোঅন করায়নি দক্ষিণ আফ্রিকা। তবুও ব্যাপারটি একেবারেই মানতে পারছেন না বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। টেস্টের এমন গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে মুশফিকের রিভার্স সুইপ খেলার ব্যাখ্যা নেই সুজনের কাছে, এমনকি সুজন নিজেই জানতে চান এর কারণ। সঙ্গে ফলোঅন কাটাতে না পারার ব্যাপারটিকে ‘সম্মানহানিকর’ বলছেন তিনি।

পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা শেষে সুজন বলেন, ‘মুশফিকের আউট অবশ্যই প্রত্যাশিত না। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির কয়েক মিনিট বাকি ছিল। এমন অবস্থায় এই শট আমরা চাই না, আর ৪৩ (৩৬) রান বাকি ছিল ফলোঅন এড়ানোর। যদিও ওরা আমাদের ফলোঅন করায়নি। কিন্তু মান সম্মানের তো একটা ব্যাপার।’
 
যোগ করেন সুজন, ‘খুবই অপ্রত্যাশিত যে ওই সময় ওরকম একটা শট খেলবে কেউ। ওর মতো এত অভিজ্ঞ খেলোয়াড়, ওর কাছ থেকে তো অবশ্যই আমরা আশা করব না। ব্যাখ্যাটা কি আমি আসলে বলতে পারব না। সে ভালো জানে। সত্যি কথা বলতে দুর্ভাগ্যজনক।’

সুইপ বা রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে মুশফিকের আউট হওয়ার ঘটনা এবারই প্রথম নয়। এর আগেও নানা সময়ে বিভিন্ন সংস্করণে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে একই শটস খেলতে গিয়ে নিজের উইকেট উপহার দেওয়ার নজির আছে তার। এজন্য অনেক সমালোচিত আর প্রশ্নের মুখেও পড়তে হয়েছে তাকে। সেসব বিবেচনায় রেখেও টেস্টে লাঞ্চের ঠিক আগে দলের বিপদের মধ্যে এমন শট, ৮০ টেস্ট খেলা একজন খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রে চরম বিস্ময়কর। টিম ডিরেক্টরও তুললেন সেই প্রশ্ন।

সুজন বললেন, ‘ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টিতে আমরা জানি রান করতে হয়। সেখানে ঠিকাছে (রিভার্স সুইপ)। টেস্টে যখন পরিস্থিতি দাবি করে টিকে থাকার সেখানে এরকম শট। উত্তরটাই সেই দিতে পারবে কেন এরকম শট। তবে আমরা এটা আশা করিনি।’
 
টিআইএস