যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরে গত ১০ মে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন বাংলাদেশি অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এজন্য শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে তার খেলা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। তবে স্বস্তির খবর হচ্ছে, করোনা নেগেটিভ এসেছে সাকিবের। এজন্য চট্টগ্রাম টেস্টে পাওয়া যাবে তাকে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে কোভিড থেকে সেরে উঠতেই প্রথম টেস্ট খেলতে পারবেন তিনি?

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি আজ শুক্রবার হেলিকপ্টার যোগে চট্টগ্রাম গিয়েছেন। সেখানে কথা বলেছেন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে। এক প্রশ্নের জবাবে পাপন পরিস্কার করেছেন, সাকিব খেলছে না ধরে নিয়েই এগুচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্ট। 

কারণ ব্যাখ্যায় পাপন বলেন, ‘ওর সাথে যে কথাটা হয়েছে যে ও নেগেটিভ হলে এখানে আসবে এবং এখানে ব্যাপারটা হচ্ছে ও কিন্তু অনুশীলনে নাই, খেলার মধ্যে নাই। প্লাস ওর ফিজিক্যাল কন্ডিশন, ও বলেছে ও সুস্থ বোধ করছে। কিন্তু এটা পুরোটাই হচ্ছে মেডিকেল ইস্যু। এখানে মেডিকেল টিমের যারা আছে, ফিটনেস ট্রেনার যারা আছে তারাই ওকে বিচার করবে। সে শুধু কালকে একদিন অনুশীলন করার সুযোগ পাবে। আজকে যদি এখানে আসতে পারতো তাহলে আজকে অনুশীলনে জয়েন করতে পারতো।’

যোগ করেন পাপন, ‘হয়তো সে খেলতে পারে আবার নাও খেলতে পারে, মানে এটা আসলে বলাটা মুশকিল। ওর উপর নির্ভর করছে, টিমের উপর নির্ভর করছে এবং মেডিকেল টিমের উপর নির্ভর করছে। এখানে আবেগী হওয়ার কিছু নেই। কিন্তু করোনা নেগেটিভ হয়ে খেলা, এটা যদি একদিনের ফরম্যাট হতো আমরা বলতাম খেলো।’

১৫ মে প্রথম টেস্ট। তার আগে প্রস্তুতির সময় খুব বেশি নেই। করোনা নেগেটিভ হলেও এখনো দলের সঙ্গে যোগ দেননি সাকিব। আজ সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার কথা আছে। পাপন জানিয়েছেন, সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলা আর না খেলার পূর্ণ সিদ্ধান্ত থাকবে সাকিবের ওপরেই।

পাপন বলেন, ‘এটা পাঁচ দিনের খেলা, আমরা চাইবো না ওর জন্য বাড়তি চাপ হোক বা ক্ষতির ইস্যু হয়। সেজন্য আমরা সাবধানে যাব, এবং ওর উপর পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া আছে। ও যদি খেলতে চায়, তাহলে ও খেলবে, ওকে তো না করার কোনো সুযোগ নেই।’

চট্টগ্রামে গিয়ে ক্রিকেটার ও টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন পাপন। এরপর সেখান থেকে কক্সবাজার যাবেন বিসিবি সভাপতি, সেখানে জেলা ও বিভাগীয় সংগঠকদের সাথে বৈঠক করবেন তিনি।

টিআইএস/এইচএমএ