সাকিব আল হাসান যেন থেকেও নেই! এমনিতেই টেস্ট ক্রিকেটে পাওয়া যায় না বাঁহাতি অলরাউন্ডারকে। গত দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে দলে থাকলেও পারিবারিক কারণে সাদা পোশাকে মাঠে নামতে পারেননি। এবার শ্রীলঙ্কা বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজে খেলার কথা ছিল তার। কিন্তু দলে যোগ দেওয়ার আগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন তিনি। টেস্ট শুরু ১৫ মে, তার দুই দিন আগে সেরে উঠেছেন বটে, তবে এখনো খেলার জন্য শারীরিকভাবে ফিট হতে পারেননি।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ইঙ্গিত দিয়েছেন, সাকিবকে চট্টগ্রাম টেস্টের একাদশে পাওয়া যাবে না ধরে নিয়েই পরিকল্পনা সাজাচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্ট। আজ শুক্রবার দলীয় অনুশীলনের ফাঁকে হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর দিয়েছেন একই রকম আভাস। সাকিবের বিকল্পও ভেবে ফেলেছে স্বাগতিক শিবির। সেক্ষেত্রে ইয়াসির আলি রাব্বিকে টপকে এগিয়ে মোসাদ্দেক হোসেন।

ডমিঙ্গো বলেন, ‘সে (মোসাদ্দেক) আমাদের নির্বাচনের ভাবনায় আছে। সে বোলিং করতে পারে। সাকিব খেলতে না পারলে মোসাদ্দেক খেলার জন্য বিবেচনায় আছে।’

ডমিঙ্গোর কাছে প্রশ্ন রাখা হয়, সাকিবকে কি পাওয়া যাবে না শেষপর্যন্ত? সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি ডমিঙ্গো। তবে বাস্তবতা তুলে ধরে বললেন, সাকিবের ফিট হতে হাতে সময় মাত্র ১ দিন। এখন শারীরিকভাবে মোটে ষাট শতাংশ ফিট সাকিব, এই একদিনে পূর্ণ ফিটনেস ফিরে পাওয়া সহজ নয় মোটেও।

ডমিঙ্গোর ব্যাখ্য, ‘তার ফিটনেস পরীক্ষা করতে হবে। তাকে আগামীকাল আমরা দেখব। দুই তিন-সপ্তাহেরও বেশি সময় হয়ে গেছে ও ব্যাটিং বা বোলিং কিছু করেনি। হঠাৎ করে এসে পাঁচদিনের টেস্ট ম্যাচ খেলা কঠিন এবং পারিপার্শ্বিক অনেক কিছু চিন্তা করতে হবে। টেস্ট ক্রিকেট কঠিন। আমারও কোভিড হয়েছিল। আমি জানি কতটা খারাপ অভিজ্ঞতা হয় এবং শরীরে শক্তি পাওয়া যায় না। এটা টি-টোয়েন্টি বা ওয়ানডে ম্যাচ নয়। এখানে প্রায় ৬ ঘণ্টা মাঠে থাকতে হয়। অনেকটা সময় পুরো পাঁচদিনই। এসব বিষয় অবশ্যই বিবেচনায় আনতে হবে।’ 

সঙ্গে যোগ করেন ডমিঙ্গো, ‘অবশ্যই আমরা তাকে পেতে চাই। সর্বকালের অন্যতম সেরা একজন ক্রিকেটার সে। কিন্তু আমাদের নিশ্চিত করতে হবে সে যেন তার পারফর্ম করার সকল সুযোগ পায়। আমাদের দেওয়া ভূমিকায় সে যেন পারফর্ম করতে পারে সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।’

ডমিঙ্গো পরিস্কার করে বললেন, দিনে অন্তত ১৫ ওভার বল করার ফিটনেস যোগাড় করতে হবে সাকিবকে। সঙ্গে থাকতে হবে তিন-চার ঘণ্টা ব্যাটিং করার সক্ষমতা, যা করোনা থেকে সেরে উঠেই সহজ হবে না। এজন্য দল তার বিকল্প হিসেবে এমন কাউকে খুঁজছে, যে বল হাতে সাকিবের অভাব কিছুটা হলেও পূরণ করতে পারবেন।

ডমিঙ্গো বলছিলেন, ‘বোলিং করতে পারে এমন কাউকে আমাদের বিবেচনা করতে হবে। এটা আমাদের জন্যও চ্যালেঞ্জিং। যেমন আমাদের ইয়াসির আলী রাব্বী আছে। যে কিনা দুর্দান্ত পারফর্ম করছে। কিন্তু আমাদের এমন কাউকে প্রয়োজন যে কিনা ১৫-২০ ওভার বোলিং করতে পারে। মুমিনুল আমি নিশ্চিত না যে ১০-১৫ ওভার বোলিং করতে পারে। শান্তও বোলিং করে কিন্তু ৬-৭ ওভারের বেশি নয়। আমরা শেষ দুই বছরই ৬-৭ নম্বরে ব্যাটিং এবং ১০-১৫ ওভার বোলিং করতে পারে এমন কাউকে খুঁজছি।’

টিআইএস/এনইউ