টেস্টে ঝুঁকি এড়াতে সবসময় রক্ষণশীল মনোভাব বাংলাদেশ দলের। বোলার একজন কমিয়ে খেলানো হয় বাড়তি একজন ব্যাটসম্যান। তার মূল্য দিতে হয়েছে সবশেষ দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে। বিশ্লেষকদের মতে, প্রথম টেস্টে ৪ জনের জায়গায় ৫ বোলার খেলালে টেস্টের ফল ভিন্ন হতে পারত, জয়ী দলের তালিকায় নাম থাকতে পারতো বাংলাদেশ দলের। এবার ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কা সিরিজ। চট্টগ্রাম টেস্টে কোন পথে হাঁটবে স্বাগতিক শিবির?

৪ বোলার নাকি ৫ বোলার, ৩ পেসার নাকি ২ পেসার? এসব প্রশ্নের উত্তর মিললো না টেস্টের আগের দিনও। অধিনায়ক মুমিনুল হক রহস্য রেখে দিয়ে জানালেন, ১৫ মে খেলা শুরুর আগে উইকেটের চরিত্র বুঝে নেওয়া হবে সিদ্ধান্ত। তবে চট্টগ্রাম যেহেতু রানের উইকেট, এর প্রভাব পড়বে একাদশে।

শনিবার পুরো বিষয়টি ব্যাখ্যা করে সংবাদমাধ্যমকে মুমিনুল বললেন, ‘কাল উইকেট দেখে সিদ্ধান্ত নিব, ৪টা বোলার নাকি ৫টা বোলার নিয়ে খেলব। সাকিব ভাই এলে কম্বিনেশন ভালো হয়। হয়ত কাল সিদ্ধান্ত নিতে পারব ৩ পেসার নাকি ২ পেসার। চট্টগ্রামে রান বেশি হয়, বোলারের চাহিদা বেশি থাকে। এটার প্রভাব পড়তে পারে।’

বোলিং শক্তিতে অবশ্য কিছুটা ভাটা পড়েছে টাইগার শিবিরে। টেস্ট স্কোয়াডের সেরা পেসার তাসকিন আহমেদ নেই ইনজুরির কারণে। স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজও ছিটকে গেছেন চট্টগ্রাম টেস্ট থেকে। অধিনায়ক তাদের দুই জনের অভাবটা বুঝতে পারছেন বেশ। তবে যারা দলে আছেন, তাদের কাঁধে রাখছেন সমর্থনের হাত।

মুমিনুলের জবাব, ‘নিউজিল্যান্ডে জয়ে তাদের অনেক অবদান ছিল। তাদের দুজনকে মিস করব। একজন ভালো ব্যাটিংও করে, অলরাউন্ডার। তবে তাদের জায়গায় যারা খেলবে তাদের জন্য ভালো সুযোগ। ওরা এমন পারফর্ম করছিল যে অন্য কাউকে সুযোগ দিচ্ছিল না। ওদের জায়গায় যারা খেলবে তারা ঐ বার্তা দিতে চাইবে যে আমরাও ভালো অবস্থানে আছি। তাদের ওপর বিশ্বাস আছে।’

মিরাজের পরিবর্তে ডাক পাওয়া অফ স্পিনার নাঈম হাসানকে চট্টগ্রাম টেস্টের একাদশে পাওয়া যাবে কিনা জানতে চাইলে মুমিনুল বলেন, ‘ও খেলবে কি না কাল বোঝা যাবে। যদি খেলে ও ওর ভূমিকা জানে। করতে পারবে ইনশাআল্লাহ্‌।’

৪ বোলার নাকি ৫, ৩ পেসার ২ স্পিনার নাকি ২ পেসার ২ স্পিনার- এসব আলোচনার মাঝে লক্ষ্য অবশ্য চূড়ান্ত বাংলাদেশ দলের। 

মুমিনুল বললেন, ‘যখন খেলি জেতার জন্য খেলি। এখানেও এই পরিকল্পনা নিয়েই খেলব। ম্যাচ জেতার জন্যই খেলব। আগে কী হল না হল এগুলো নিয়ে কখনও চিন্তা করতে পারবেন না। যারা ৫ দিন চাপ সামলাতে পারবে তারাই ম্যাচ জিতবে। অতীতে কী হয়েছে এসব ভূমিকা রাখে না।’

টিআইএস/এটি