ব্যাট হাতে সময়টা একেবারেই ভালো যাচ্ছিল না অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিমের। তার সঙ্গে যোগ হয় সুইপ আর রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে আউট হওয়ার বিতর্ক। এজন্য অনেকেই মুশফিককে কাঠগড়ায় তুলে বলেছেন, এই উইকেটরক্ষককে টি-টোয়েন্টি থেকে ছেটে ফেলা হোক। কেননা, এই ফরম্যাটে খেলার ধরন আর ব্যাটিং গড় কোনটাই তার পক্ষে কথা বলছে না।

কিছুদিন আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের বিশ্রামের নামে দল থেকে বাদ দেওয়া হয় মুশফিককে। গত ৮ মে খোদ বাংলাদেশ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি সরাসরি না বললেও মুশফিককে টি-টোয়েন্টি থেকে স্বেচ্ছায় সরে যাওয়ার মত দিয়েছেন, যেমনটি করেছেন তামিম ইকবাল। এই ফরম্যাট থেকে ৬ মাসের বিশ্রামে তিনি। তবে গুঞ্জন আছে তামিম আর কখনোই ফিরবেন না সংক্ষিপ্ত সংস্করণে!

মুশফিক অবশ্য সে বার্তা দিলেন না। আজ চট্টগ্রামে সংবাদ সম্মেলনে জানালেন, তামিমের মতো কোনো ভাবনা নেই তার।

মুশফিকের ব্যাখ্যা, ‘না ভাই, আমার এমন কোনো ভাবনা নেই, আমার ইচ্ছে বাংলাদেশে হয়ে যতটুকু ম্যাচ খেলার আমার কাছে সুযোগ আসবে, এবং আমাকে তারা যেভাবে চাইবে, আমি চেষ্টা করে যাব আমার ফিটনেস আর পারফরম্যান্স দিয়ে সেই সুযোগ ধরে রাখার।’

নিজের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করতে গিয়ে বলেন, ‘চাওয়া-পাওয়ার তো তেমন কিছু নেই সত্যি বলতে। আমার মনে হয় বাংলাদেশে অভিজ্ঞতার কোনো দাম নেই। সেখানে আমি মনে করি ১৭ বছর, আলহামদুলিল্লাহ। এতটুকু যে আসতে পেরেছি, এটা আমার কাছে অনেক বড় ব্যাপার। সামনে আল্লাহ যতটুকু রেখেছেন, উনি লিখেই রেখেছেন। ইনশা আল্লাহ অতটুকু যেন ভালো মতো খেলতে পারি।’

কিছুদিন আগে মুশফিকুর রহিমকে ইঙ্গিত করে পাপন বলেন, ‘রিয়াদ টেস্ট থেকে সরে এসেছে। তামিম টি-টোয়েন্টি খেলছে না। মুশফিক এখনও খেলছে, আমি নিশ্চিত ওর সিদ্ধান্তও জানা যাবে। ও নিশ্চয়ই চিন্তাভাবনা করছে। আমরা চাই না আমাদের খেলোয়াড়রা মন খারাপ করুক। তারা হাসিমুখে খেলুক। নিজেরা সিদ্ধান্ত নিক। যত তাড়াতাড়ি তারা নিজেদের সিদ্ধান্ত নিতে পারবে ততো ভালো। যদি সিদ্ধান্ত না নেয় তো একটা সময় আমাদেরকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’

টিআইএস/এনইউ