কথায় আছে, ‘শেষ ভালো যার, সব ভালো তার’--আইপিএলে মুস্তাফিজের শেষটাই ভালো হলো না। শেষ পাঁচ ম্যাচে তো একাদশেই সুযোগ পাননি। তার দল দিল্লি ক্যাপিটালসও মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের কাছে হেরে প্লে-অফের দোরগোড়া থেকে বিদায় নিয়েছে।

দিল্লির হয়ে এবারের আইপিএলে ৮ ম্যাচে মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছিলেন বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। ৮ ম্যাচ খেলে ৭.৬৩ গড়ে সমান ৮ উইকেট পেয়েছেন তিনি।

দলের সঙ্গে দেরিতে যোগ দেওয়ায় আসরের প্রথম ম্যাচে খেলা হয়নি মুস্তাফিজের। তবে এরপর টানা আট ম্যাচ খেলেছেন তিনি। আসরে নিজের প্রথম ম্যাচেই গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে মাত্র ২৩ রান খরচায় ৩ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি।

কলকাতা ও লখনউয়ের বিপক্ষে পরের দুই ম্যাচে কিপটে বোলিং করলেও কোনো উইকেট পাননি মুস্তাফিজ। তবে মার খেয়েছেন বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ম্যাচটিতে, ৪ ওভার বোলিং করে সেই ম্যাচে ৪৮ রান দিয়েছিলেন তিনি, উইকেটের ঘরটিও ছিল শূন্য।

এরপর পাঞ্জাব ও রাজস্থানের বিপক্ষে ম্যাচ দুটিতে একটি করে উইকেট পেয়েছিলেন, তবে রাজস্থান ম্যাচে আবারও খরুচে বোলিং করেছিলেন তিনি। ৪ ওভার বোলিং করে সে ম্যাচে ৪৩ রান খরচায় পেয়েছিলেন এক উইকেট।

এবারের আসরে মুস্তাফিজ তার সেরা বোলিং করেছেন দলের হয়ে নিজের সপ্তম ম্যাচে কলকাতার বিপক্ষে। শেষ ওভারের জাদুতে সেদিন মাত্র ১৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। তবে এরপরের ম্যাচেই আবার লখনউয়ের বিপক্ষে চার ওভার বোলিং করে ওভারপ্রতি ৯ রানের বেশি দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন এই বাঁহাতি পেসার।

সেই ম্যাচের পর আর দিল্লির হয়ে মাঠে নামা হয়নি মুস্তাফিজের। ৭.৬৩ গড় নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের ইঙ্গিত দিলেও সেটা হয়ত যথেষ্ট ছিল না দিল্লি ক্যাপিটালসের জন্য। আর সেজন্যই শেষ পর্যন্ত দলে জায়গা হারাতে হয়েছে তাকে।

আইপিএলে ২০১৬ সালে নিজের প্রথম মৌসুমেই সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে শিরোপা জিতেছিলেন মুস্তাফিজ। সেবার আসরের সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের পুরস্কারও উঠেছিল তার হাতে। তবে আইপিএলে এরপর হায়দরাবাদের হয়ে আরও এক মৌসুম এবং মুম্বাই, রাজস্থানের হয়ে এক মৌসুম করে খেললেও টুর্নামেন্টের প্রথম মৌসুমের মতো দ্যুতি আর ছড়াতে পারেননি।

এইচএমএ/এটি