দীর্ঘ ৪ বছর বাংলাদেশে কাটিয়ে গেছেন নাভিদ নেওয়াজ। ছিলেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হেড কোচ। তার কোচিংয়েই যুব বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। নাভিদের হাত ধরে বয়সভিত্তিক দলের গণ্ডি পেরিয়ে জাতীয় দলে থিতু হয়েছেন মাহমুদুল হাসান জয়, শরিফুল ইসলামরা। তবে সম্প্রতি বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের দায়িত্ব ছেড়ে নিজ দেশ শ্রীলঙ্কা মূল দলের সহকারী কোচ হয়েছেন নাভিদ।

ঢাকায় দুই ম্যাচ সিরিজের শেষ টেস্ট জিতে সিরিজ জিততে চায় শ্রীলঙ্কা। এজন্য নাভিদের বাংলাদেশে অর্জিত অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চায় সফরকারীরা। ২৩ মে, সোমবার শুরু ঢাকা টেস্ট। তার আগে আজ রোববার মিরপুরে সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানালেন লঙ্কানদের নতুন হেড কোচ ক্রিস সিলভারউড।

সিলভারউড বললেন, ‘আমি এখানকার উইকেট দেখিনি কিন্তু যারা এই উইকেট সম্পর্কে জানে আমার কোচিং স্টাফের তাদের সাথে কথা বলেছি। আমি আমাদের সহকারী কোচের সাথে কথা বলবো যেন এখানকার উইকেট কেমন আচরণ করে তা আরও ভালোভাবে জানতে পারি। বাংলাদেশে কাটানো তার সময় থেকে অর্জিত জ্ঞান আমরা নিতে চাই এবং অধিনায়ক যেন নিশ্চিত করতে পারে কন্ডিশন বিবেচয়ানায় তার সেরা একাদশ নিয়ে নামছে।’

সঙ্গে যোগ করেন সিলভারউড, ‘আমরা প্রতিটি মাঠের পরিসংখ্যান নিয়েই ভাবি। এর আগে এখানে কেমন ফল হয়েছে সেটা দেখি, ব্যাটিং ও বোলিং লাইন আপ কেমন হয় সেসবও। আমরা ইতিহাসকে বিবেচনায় নিই এবং সেভাবে দল নির্বাচন করি। আমরা সেরা ১২ জনের একটা তালিকাও করেছি তবে এই মুহূর্তে সেটা বলতে চাচ্ছি না।’

বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা দুই দলের এই সিরিজের প্রথম ম্যাচ ড্র হয়। দ্বিতীয় ম্যাচ তাই সিরিজ নির্ধারণী হয়ে উঠেছে। ম্যাচটি সহজ হবে না মানলেও জয়েই চোখ রাখছেন সিলভারউড।

সিলভারউড বললেন, ‘আমার মনে হয় না এটা সহজ ম্যাচ হবে। দুই দলই ম্যাচটা জিততে চায়। খেলোয়াড়রা খুব ফোকাসড আছে। তারা জানে আমাদের সামনে কঠিন একটা লড়াই। এটা দারুণ চ্যালেঞ্জ। দুই দলই জিততে চায়। দারুণ হবে যদি আমরা জিততে পারি। শ্রীলঙ্কার মানুষদের মুখে হাসি এনে দিতে পারে। একই সঙ্গে বাংলাদেশও একই কাজ করতে চাইবে। তাই এটা দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ হবে।’

টিআইএস/এটি