‘তারা কতইনা অশুভ আর বিকৃত মনের মানুষ, যে কি না নিজের ব্যবসায়িক কৌশলের জন্য বাজে পারফরম্যান্সের প্রার্থনা করছে! লজ্জা!’- দেবশ্রী বিশ্বাস সঞ্চিতার বলা এই কথাগুলো সহসা ভুলে যাওয়ার কথা নয় ক্রিকেট সমর্থকদের। কিছুদিন আগে লিটন দাসের অফ ফর্মে যখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছিল হাস্যরস, তখন সরব হন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানের সহধর্মিণী।

বাংলাদেশ ক্রিকেটে যে কয়েকজন ‘সলিড’ টেকনিকের ব্যাটসম্যান আছেন, তাদের মধ্যে শুরুর দিকেই থাকবে লিটনের নাম। তবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নাম লিখিয়ে সময়টা ভালো কাটছিল না তার। চারদিকে চলতে থাকে সমালোচনা। এও দেখা গেছে যে, কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিজ্ঞাপন দিয়েছে, লিটন একটি নির্দিষ্ট ম্যাচে যত রান করবেন, পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে ঠিক তত শতাংশ ছাড় পাবেন ক্রেতারা।

এখন লিটনের ব্যাট মানেই রানের ফোয়ারা। আগের থেকে বেশ অভিজ্ঞ আর পরিণত তিনি। প্রায় প্রতি ম্যাচেই করছেন রান, সমালোচনার জবাব দিচ্ছেন ব্যাট দিয়ে। ৭ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার পার করার পর লিটন মনে করেন, সমালোচনা এখন আর তার ওপর প্রভাব ফেলে না।

মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে সংবাদমাধ্যমকে লিটন বলেন, ‘সমালোচনা হবেই। জীবন যেহেতু ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে, ভালো খেললে আপনারা বাহবা দেবেন, জনগণ বাহবা দিবে, আবার খারাপ খেললে ঠিক উল্টোটা হবে। কারণ তারা চায় আমি পারফর্ম করি। এই জিনিসটা আমার ওপর এখন আর প্রভাব ফেলে না।’

গত দুই বছরে বেশ পরিণত লিটন। টেস্ট ক্রিকেটে অপ্রতিরোধ্য গতিতে ছুটছে তার ব্যাট। এই খারাপ সময় দূর করেছেন ব্যর্থতা থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা দিয়ে।

লিটন বলছিলেন, ‘না, কেউ কাউন্সেলিং করে না। মানসিক দৃঢ়তা আসলে ব্যর্থতা থেকেই আস্তে আস্তে মাথায় চলে আসে। ওখান থেকে উন্নতি করি। আপনি ব্যর্থ না হলে বুঝবেন না আপনার মানসিকতা কোন দিকে যাচ্ছে।’

যোগ করেন লিটন, ‘যখন দেখতাম, খুব ব্যাকফুটে আমি, সেখান থেকেই চ্যালেঞ্জ ছিল সামনে এগোনোর। এখন আর পরিসংখ্যান দেখি না, কারণ এখন সামনে এগিয়ে যাওয়ারই চিন্তা। জানি না কতদূর যেতে পারব।’

টিআইএস/আইএসএইচ