মোহাম্মদ হাফিজ/ফাইল ছবি

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থকগোষ্ঠীর ডাকা আজাদী মার্চে উত্তাল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে পাকিস্তানে। সেটা ঠেকাতে দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের নেতৃত্বাধীন সরকার রীতিমতো সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্তই নিয়ে নিয়েছে। এতে দেশটির লাহোর অঞ্চলে বর্তমানে দেখা দিয়েছে তীব্র অর্থ ও জ্বালানী সংকট। দেশটির বর্তমান অবস্থার পেছনে শেহবাজ শরীফ সরকার ও রাজনীতিবিদদের দায়ী করেছেন পাকিস্তানি অলরাউন্ডার মোহাম্মদ হাফিজ। সম্প্রতি এক টুইটে রীতিমতো ধুয়ে দিয়েছেন সবাইকে।

নতুন করে নির্বাচনের দাবিতে ইমরান খানের সমর্থকরা আজাদী মার্চের ডাক দিয়েছেন। লাহোর থেকে তাদের গন্তব্য ঠিক করা হয়েছে ইসলামাবাদকে। তাদের থামাতে পাকিস্তানি পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে আন্দোলনে, লাঠিচার্জ করেছে, গ্রেপ্তারের ঘটনাও ঘটেছে অনেক। এমন পদক্ষেপের মাধ্যমে বিক্ষোভকারীদের ইসলামাবাদে প্রবেশ ঠেকানোর চেষ্টা করছে পাক সরকার।

এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানে দেখা দিয়েছে অর্থ ও জ্বালানী সংকট। তাতে জনমানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। রাজনীতিবিদদের এসব পদক্ষেপে সাধারণ মানুষ কেন ভুগবে, সেই প্রশ্নই করেছেন হাফিজ। টুইটারে তিনি বলেছেন, ‘লাহোরের পেট্রোল স্টেশনে কেন কোনো পেট্রোল নেই! এটিএম মেশিনে কেন কোনো নগদ অর্থ নেই? কেন একজন সাধারণ মানুষ আপনাদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের কারণে ভুগবে?’

হাফিজ অবশ্য এখানেই থামেননি। সেই টুইটে ট্যাগ করেছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফকে।

দেশটির জন্য ৬০০ কোটি ডলারের রেসকিউ প্যাকেজ পুনরায় চালু করা হবে কি না, সে বিষয়ে আইএমএফ সিদ্ধান্ত নেবে শিগগিরই। তার ঠিক আগে পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট আরও প্রকট আকার ধারণ করল।

গত শনিবার ইমরান খান তার সমর্থকদের শান্তিপূর্ণভাবে ইসলামাবাদে প্রবেশ করে নতুন নির্বাচনের দাবি আদায়ের আন্দোলন করতে বলেন। জোট সরকার প্রধান শেহবাজ শরীফ এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, তার সরকার তার মেয়াদ পূরণ করবে, আর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী বছর। 

শুরুতে অবশ্য এই আন্দোলনে কোনো বাধা দেওয়া হয়নি। কিন্তু গত আজাদী মার্চকে সামনে রেখে সহিংসতা ও অরাজকতার ভয়ে গত মঙ্গলবার আন্দোলনকারীদের বাধা দেয় সরকার। 

গেল মাসে আস্থা ভোটে হেরে গিয়ে পদচ্যুত হওয়া ইমরান খান তার সমর্থকদের দাবিদাওয়া আদায়ের আগ পর্যন্ত ইসলামাবাদে অবস্থানের আহ্বান করেছেন। তার এই আহ্বানের পর ইসলামাবাদে ঢোকা ও বের হওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, যেমন সংসদ, সরকারী দপ্তর, কূটনৈতিক মিশন, দপ্তর ইত্যাদিতেও প্রবেশের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

এনইউ/এটি