তীব্র অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক সংকটে দিশেহারা শ্রীলঙ্কা। নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য ও পণ্যসামগ্রীর তীব্র ঘাটতির ফলে বেশ বিপাকে পড়েছে দ্বীপ দেশটি। রাজনৈতিক পালাবদল হলেও সংকট মোচন হয়নি। নিজেদের দাবি আদায়ে এখনো রাজপথ ছাড়েনি দেশটির সাধারণ মানুষ। এমন অবস্থায় বাংলাদেশে সিরিজ খেলতে আসা নিয়েই সংশয় ছিল শ্রীলঙ্কা জাতীয় দলের। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে এসে সেটি ১-০ ব্যবধানে জিতে শনিবার দেশে ফিরে যাবে তারা।

চট্টগ্রাম টেস্ট ড্র হওয়ার পর ঢাকা টেস্ট ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে জিতে সিরিজ নিজেদের করেছে লঙ্কানরা। এই জয় সংকটপূর্ণ শ্রীলঙ্কার মানুষের জন্য প্রাপ্তি হিসেবে দেখছেন সফরকারী দলের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান নিরোশান ডিকওয়েলা। শুক্রবার ম্যাচ শেষে মিরপুরে সংবাদমাধ্যমকে এ কথা জানান তিনি।

ডিকওয়েলা বলছিলেন, ‘আমরা এখানে ক্রিকেট খেলতে এসেছি, দেশে আর সব কিছু পেছনে ফেলেই এসেছি। আমাদের চাওয়া ছিল ভালো ক্রিকেট খেলা এবং সিরিজ জয় করা। তবে অবশ্যই এটি দেশের মানুষের জন্য একটি প্রাপ্তি হবে, দেশ এখন কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। শ্রীলঙ্কার জন্য এটা ভালো।’

ইনিংস হারের শঙ্কা নিয়ে ঢাকা টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করে বাংলাদেশ দল। দিন শেষে স্বাগতিকদের লক্ষ্য ছিল, পঞ্চম ও শেষদিনের প্রথম সেশনে কোনো উইকেট না হারানো। প্রথম সেশনে মাত্র ১টি উইকেট হারিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে উল্টো লিড নেয় টাইগাররা। ৪ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে মাত্র ৩৪ রান নিয়ে দিন শুরু করে প্রথম সেশন শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান করে স্বাগতিকরা। তবে লাঞ্চের পর ফিরে ব্যক্তিগত অর্ধশতকের কোটা পূর্ণ করে আউট হন সেট ব্যাটসম্যান লিটন কুমার দাস।

নিজের বলে লঙ্কান পেসার আসিথা ফার্নান্দো অসাধারণ এক ক্যাচ নেন। এরপর হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল বাংলাদেশের ইনিংস। শেষ ১৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ দল। শ্রীলঙ্কার সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় মাত্র ২৯ রানের। ম্যাচ শেষে ডিকওয়েলা জানালেন, ওই ক্যাচেই নির্ধারণ হয়ে গেছে ম্যাচের ভাগ্য।

ডিকওয়েলা বলেন, ‘আমাদের ড্রেসিং রুম ধীরস্থিরই ছিল। আমরা জানতাম, একটি উইকেটের ব্যাপার। একটি উইকেট নিলেই টেলএন্ডাররা চলে আসবে ব্যাটিংয়ে। আমরা নিজেদের ওপর চাপ নিতে দেইনি। লাঞ্চের পর আসিথা দুর্দান্ত একটি ক্যাচ নেয় (লিটনের), এটিই ছিল টার্নিং পয়েন্ট।’

টিআইএস/এনইউ