শেষ কবে এমন সংকটে পড়েছিল বাংলাদেশ দল? স্পিনের স্বর্গরাজ্য হিসেবে বিবেচিত দেশে স্পিনের আকাল পড়ে গেল। মেহেদী হাসান মিরাজ আর নাঈম হাসানের ইনজুরিতে জাতীয় দলে খেলানোর মতো বিকল্প কোনো অফ স্পিনার নেই। বাধ্য হয়ে ব্যাটিং অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেনের সৈকতের ওপর দায়িত্ব, যিনি ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিং করতে পারেন। অথচ ঢাকা টেস্টে একাদশে থেকে রীতিমত উপেক্ষিত মোসাদ্দেক, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মোটে ১২ ওভার হাত ঘুরিয়েছেন, সেটিই ঢের আলোচনার পর।

১২ ওভার বল করে উইকেটের দেখা না পাওয়ায় মোসাদ্দেককে নিয়ে নেতিবাচক চর্চা হচ্ছে। মিরাজ-নাঈমদের অভাব পূরণে ব্যর্থ বলা হচ্ছে তাকে। অথচ এই টেস্টের আগেও প্রায় ৩ বছর টেস্ট খেলেননি এই ডানহাতি অলরাউন্ডার। এজন্য মোসাদ্দেকের প্রতি অন্যায় করা হচ্ছে বলে মনে করেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কোচ সোহেল ইসলাম।

শনিবার মিরপুরে সংবাদমাধ্যমকে সোহেল বলছিলেন, ‘দলে এসেই হুট করে ভালো করে ফেলবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটা কঠিন। বিশেষ করে লঙ্গার ভার্সনে। যারে খেলাব তারেও আসলে সময় দিতে হবে পারফর্ম করার। মোসাদ্দেক যদি ১০টা টেস্ট খেলে আর ১১ নম্বর ম্যাচে খারাপ করে, তখন এই প্রশ্নটা আসবে। একটা টেস্ট হুট করে খেললাম আর বললাম কেন সে নাঈম-মিরাজের অভাব পূরণ করতে পারছে না। আমার কাছে মনে হয় এটা তার জন্য অন্যায় হচ্ছে।’

সঙ্গে যোগ করেন সোহেল, ‘পাইপলাইনে খেলোয়াড় আছে, কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হুট করে খেলার জন্য প্রস্তুত নেই। যারা আসবে আসলে তাদেরও সময় দিতে হবে। ম্যানেজমেন্ট হয়তো ভেবেছে মোসাদ্দেলের অভিজ্ঞতা আছে। সে প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলে, এ জায়গাটা কাভার করতে পারবে। এটা হতেই পারে, দুর্ভাগ্যজনকভাবে যেভাবে আশা করা হয়েছে সে করতে পারেনি।’

মিরাজ-নাঈমের চোটে অফ স্পিন বিভাগে যে সংকট তৈরি হয়েছে, সেটিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন সোহেল। তিনি মনে করছেন, এর ফলে এখন পাইপলাইনে অফ স্পিনার তৈরিতে আরো বেশি মনোযোগ দেবে বোর্ড।

সোহেলের ব্যাখ্যা, ‘এটা আসলে আমাদের একটা ভালো বার্তা দিয়েছে। আমাদের পাইপলাইনটার দিকে আসলে আরও বেশি নজর দেওয়া উচিৎ। লাল বলের জন্য কিছু স্পিনার রেডি করা উচিৎ। এটা আমাদের জন্য একটা বার্তা। আমদের এ জায়গায় ফোকাস করতে হবে এবং চেষ্টা করবো যেন এই সমস্যায় না পড়ি। সব সময়ই যেন কেউ না কেউ প্রস্তুত থাকে। আর মানের দিক থেকেও যেন কাছাকাছি থাকে। সে গিয়ে যেন মানিয়ে নিতে পারে।’

টিআইএস/এটি