মুমিনুল হক টেস্ট অধিনায়কত্ব করতে চান না বলে জানানোর পরই আলোচনায় উঠে আসে নতুন টেস্ট অধিনায়কের বিষয়টি। যেখানে সবচেয়ে বেশি ঘুরপাক খাচ্ছিল সাকিবের নাম। শেষ পর্যন্ত তাকেই আবার দায়িত্বে ফিরিয়েছে বিসিবি। তবে এই আলোচনায় নাম ছিল তরুণ অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজেরও। সহ-অধিনায়কের দৌড়ে বেশ ভালোভাবে টিকে ছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে মিরাজকে দায়িত্ব না দিয়ে লিটন দাসকে বেছে নিয়েছে ক্রিকেট বোর্ড।

অধিনায়ক বা সহ-অধিনায়ক নিয়ে এখনি ভাবনা নেই বলে জানালেন মিরাজ। আজ শুক্রবার বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসপিএ) একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে জানান, দায়িত্ব পাওয়া সাকিবই নেতৃত্বে সবার সেরা।

মিরাজ বলছিলেন, ‘সাকিব ভাই যেখানে আছে, সেখানে কীভাবে কী? সাকিব ভাই তো মনে করেন বাংলাদেশকে অনেক দিন লিড করছে। সাকিব ভাই অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। বর্তমানে আমাদের দলের অবস্থা অনুযায়ী আমি মনে করি সাকিব ভাই বেস্ট। আরও যে সিনিয়র আছে, তাদেরও দায়িত্ব নেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এখন আস্তে আস্তে খেলছি, তাদের দেখে শিখছি। তাদের দেখে শিখব, আমাদের অভিজ্ঞতা আরও ভালো হবে।’

সঙ্গে যোগ করেন মিরাজ, ‘অনেক সময় আছে। এটা নিয়ে আমি চিন্তিত না। যেটা আপনি বললেন, নাম আছে। এটা নিয়ে মাথাব্যথা নেই। মাথাব্যথা হলো কিভাবে পারফর্ম করতে হবে, দেশকে কিভাবে ভালো খেলে এগিয়ে নিতে হবে। আমি এটাই চেষ্টা করি সবসময় যে নিজে প্রতিনিয়ত পারফর্ম করার জন্য। যেটা আপনি বলেছেন, কখনও আমার মাথায়ও ঢুকেনি। কারণ নিজের পারফরম্যান্স এবং দল কিভাবে রেজাল্ট ভালো করে এটা নিয়েই সবসময় চিন্তা করি।’

ইনজুরির কারণে ঘরের মাঠে সবশেষ শ্রীলঙ্কা সিরিজে ছিলেন না মিরাজ। টেস্ট দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠা এই অলরাউন্ডারের অভাব বেশ ভালোভাবেই টের পেয়েছে দল।চোট কাটিয়ে এখন সুস্থ হয়ে উঠেছেন তিনি। আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের স্কোয়াডে আছে তার নাম। সেখানে বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাট হাতেও দলে অবদান রাখতে চান মিরাজ।

মিরাজ বলেন, ‘চেষ্টা করছি। ব্যাটিংটা আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ, আমার চেয়ে দলের জন্য আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি যেখানে ব্যাট করি, আমার জন্য ৫০ রান বা ১০০ রানের জুটি অনেক বড় পরিবর্তন নিয়ে আসে। আমি হয়তো এটা চিন্তা করেছি, কাজ করেছি কোচের সঙ্গে। কিভাবে আমার এখানে উন্নতি করতে হবে, কিভাবে ব্যাটিং ভালো করতে হবে। ছোট ছোট জিনিস উন্নতি করেছি, হয়তো এটা কাজে লেগেছে।’

টিআইএস/এইচএমএ