ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কা সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে স্পিনের স্বর্গরাজ্য হিসেবে বিবেচিত দেশে স্পিনের আকাল পড়ে যায়! মেহেদী হাসান মিরাজ আর নাঈম হাসানের ইনজুরিতে জাতীয় দলে খেলানোর মতো বিকল্প কোনো অফ স্পিনার পাওয়া যায়নি। বাধ্য হয়ে ব্যাটিং অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ওপর পড়ে দায়িত্ব, যিনি ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি হাত ঘোরাতে পারেন। ঢাকা টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মোটে ১২ ওভার বল করেন সৈকত, সেটিও আবার ঢের আলোচনার পর।

ওই সিরিজের পর আলোচনায় দলে স্পিন সংকট প্রসঙ্গ। যদি সাকিব আল হাসান আর তাইজুল ইসলাম দুইজন একসঙ্গে না থাকেন, তবে বাঁহাতি স্পিনারের ভালো বিকল্পও যে নেই বাংলাদেশ দলে! তবে কি দেশে স্পিনারের আকাল পড়ে গেল? বিসিবির কোচ সোহেল ইসলাম মনে করেন, পাইপলাইনে স্পিনের বিকল্প আছে অনেক, তবে তাদেরকে সময় দিতে হবে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ক্রিকেটের জন্য প্রস্তুত করতে হবে। 

মঙ্গলবার মিরপুরে সংবাদমাধ্যমকে সোহেল বলছিলেন, ‘একদিনেই মিরাজ, তাইজুল কিংবা নাঈম হাসান তৈরি হয়নি। যারা উঠে আসবে তাদেরও সময় দিতে হবে। আমি বলব না অফ স্পিনার নাই। আমাদের আছে, এদের নার্সিং করতে হবে। তাদের আন্তর্জাতিক মানের কিছু ম্যাচ খেলাতে হবে ব্যাকআপে এবং অনুশীলনটা ওখানে লাগবে। আমি যদি ওরকম পরিবেশ তৈরি করতে না পারি বা ভালো ম্যাচ না দিতে পারি, তাহলে রেডি হওয়া আসলেই কঠিন।’

সঙ্গে যোগ করেন সোহেল, ‘পাইপলাইন তৈরি হতেও সময় লাগে। আমরা সবাই জানি আসলে আমাদের যে ঘরোয়া ক্রিকেট হয়, ওটার সাথে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মধ্যে একটা মানের পার্থক্য আছে। তো একটা ছেলেকে আমি পাইপলাইন থেকে যদি তুলে নিয়ে যাই, সে খুব ট্যালেন্টেড এবং ভালো, কিন্তু তারও আন্তর্জাতিক খেলার জন্য সময় দিতে হবে। আমরা হঠাৎ করে নিয়ে আসব এবং দুটা ম্যাচ দেখে তাকে বিচার করে ফেলব এটা তারও (খারাপ)।’

সোহেল অবশ্য মন্দ বললেননি, বাংলাদেশে ঘরোয়া পর্যায়ে খেলা স্পিনারের অভাব নেই একদমই। গত শ্রীলঙ্কার সিরিজ শেষ হতেই ভালো মানের স্পিনার খোঁজে নামে বিসিবি। তারই অংশ হিসেবে সম্ভাবনাময় ৩২ জন স্পিনারকে জাতীয় দলের স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথের ক্যাম্পে ডেকে পাঠিয়েছে ক্রিকেট বোর্ড। জাতীয় দলের ভাবনায় আর আশেপাশে থাকা স্পিনারদের নিয়ে মিরপুরে ৪ দিনের একটি বিশেষ ক্যাম্প করেন হেরাথ। যেখানে এই ৪ দিন পর্যবেক্ষণ করেন এসব উঠতি স্পিনারদের।

টিআইএস/এটি