গত এক বছরে খাবারের পেছনে বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ কোটি ৯ লাখ টাকা খরচ করেছে উত্তরাখণ্ড ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন, যেখানে কেটারিং বাবদ খরচ হয়েছে প্রায় ৫৮ লাখ টাকা, আর কলা কিনতে টাকা গিয়েছে ৪১ লাখ টাকা, আর পানির বোতলে খরচ ২৮ লাখ টাকা। সম্প্রতি সংস্থাটির অডিট রিপোর্টে বেরিয়ে এসেছে এমন তথ্য। তবে খাবারের পেছনে এত বিশাল খরচ করা সংস্থাটির ক্রিকেটাররা দৈনিক ভাতা হিসেবে পাচ্ছেন মাত্র ১২০টাকা!

অথচ ক্রিকেটাররা প্রতিদিন দলের ম্যানেজারের কাছে খাবারের কথা জিজ্ঞেস করলে উত্তর পান, ‘আরে, কেন তোমরা বারবার একই প্রশ্ন করছ? টাকা চলে আসবে। ততক্ষণ তোমরা সুইগি, জোম‌্যাটো থেকে আনিয়ে নাও না!’ 

খরচের খাতায় টাকার অঙ্ক উঠলেও ক্রিকেটাররা পাচ্ছেন না খাবার। এদিকে দৈনিক ভাতা হিসেবে তাদের যা দেওয়া হচ্ছে, একজন দিনমজুরের বেতনও এখন এর চেয়ে বেশি। এমন পরিস্থিতির ছাপ পড়েছে দলটির খেলাতেও। রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে মুম্বাইয়ের কাছে দলটি হেরেছে ৭২৫ রানের রেকর্ড ব্যবধানে। ফলে ক্রিকেটাররা মানসিকভাবে আরও বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছেন।

সাধারণত দলটির সিনিয়র ক্রিকেটারদের দৈনিক ভাতা হিসাবে দেড় হাজার রুপি দেওয়া হতো আগে। করোনাকালে সেটা কমে হাজারে নেমে এসেছিল। পরে আবার সেটা বেড়ে দু’হাজার হয়। কিন্তু সরেজমিনে গিয়ে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে, হাজার-দু’হাজার কেন, পাঁচশোও পাচ্ছেন না ক্রিকেটাররা। বরাদ্দ মাত্র একশো রুপি।

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেট বোর্ড। ক্রিকেটের প্রচার প্রসারের জন্য এখন দেশটির রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাগুলির হাতেও তুলে দেওয়া হয় অঢেল অর্থ। এরপরও উত্তরাখণ্ডের ক্রিকেটারদের এভাবে বঞ্চিত হওয়ার খবর রীতিমতো চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে রাজ্যটিতে। আবার খাবারের বিল বা কলা কেনার বিলের সঙ্গে ক্রিকেটারদের ভাতার এই বিরাট পার্থক্য কেন? এ নিয়েও প্রশ্ন উঠছে বেশ! 

এনইউ/এটি