দীর্ঘ চোটে ক্লান্ত মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। মাত্র ৫ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে বারবার ছিটকে যাওয়া আর ফেরায় এতোটাই অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন যে, এসব এখন আর খুব বেশি ছুঁতে পারে না তাকে। দেশের জার্সিতে সবশেষ মাঠে নেমেছেন ২০২১ সালের অক্টোবরে। ৮ মাস পর আবার ডাক পেয়েছেন জাতীয় দলে। আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের টি-টোয়েন্টি আর ওয়ানডে দলে জায়গা পেয়েছেন তিনি।

বয়সভিত্তিক আর জাতীয় দল মিলিয়ে টেস্ট খেলুড়ে যেসব দেশে খেলা হয়, প্রায় সব দেশেই সফর করেছেন সাইফউদ্দিন। তবে এখনো ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে যাওয়ার হয়নি তার। সব ঠিক থাকলে সাদা বলের সংস্করণের ২টি সিরিজ খেলতে আগামী ২২ জুন দেশ ছাড়বেন এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার। দেশে বসে এখন সেই সিরিজের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। ইউটিউবে পুরোনো ভিডিও দেখে প্রস্তুত হচ্ছেন বলে জানালেন সাইফউদ্দিন।

আজ রোববার মিরপুরে সংবাদমাধ্যমকে সাইফউদ্দিন বলছিলেন, ‘আমার জন্য প্রথম। ক্রিকেট নেশন সবগুলো দেশে আমি গিয়েছি, বাট ওয়েস্ট ইন্ডিজে এবারই আমার প্রথম। হয়তোবা ওই কন্ডিশন বা উইকেট আমার জানা নেই। তারপরও যেহেতু ইউটিউবে যুগ, বিভিন্ন ম্যাচগুলোর হাইলাইটস দেখছি আসলে কত স্কোরিং হতে পারে। যেসব টি-টোয়েন্টি ম্যাচগুলা ওরা খেলেছে, সেসব দেখছি। আর দেখে যতটা আইডিয়া নেওয়া যায় ম্যাচগুলো দেখে।’

চোট কাটিয়ে প্রায় ৮ মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন হবে সাইফউদ্দিন। একাদশে সুযোগ পেলে জায়গা ধরে রাখতে বড়সড় পরীক্ষা দিতে হবে তাকে। সেটি জানা থাকলেও এখনো লক্ষ্য স্থির করেননি তিনি।

সাইফউদ্দিনের ব্যাখ্যা, ‘আপাতত কোনো লক্ষ্য সেট করিনি। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে ওদের সাথে খেলেছি। দেশের মাটিতে অনেকগুলো ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলেছি। তাই ওদের সাথে খেলার কিছু অভিজ্ঞতা আছে। যদিও ওদের কন্ডিশনে খেলা, এবার প্রথম খেলব যদি সুযোগ পাই।’ 

যোগ করেন সাইফউদ্দিন, ‘ভালো জায়গায় বল করলে ব্যাটাসম্যানরা সবসময় সমীহ করে। খারাপ বলে সবাই বাউন্ডারি মারবে। আবার আমি ব্যাটিংয়ের সময় লুজ বলের অপেক্ষা করি। সব জায়গায় ভালো লাইন-লেন্থ রেখে বল করলে ভালো করা সম্ভব। কন্ডিশন বড় বিষয় নয়। দলের জয়ে ১০ রানও গুরুত্বপূর্ণ হলে সেটা আমার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। দলের জন্য উইকেট কাজে লাগলে এটাই আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’

টিআইএস/এটি/এইচএমএ