অভিষেকের পর দুইজনই বাংলাদেশ জাতীয় দলের অংশ হয়ে উঠেছেন। তবে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন আর শরিফুল ইসলামের ইনজুরি প্রবণতা অনেক বেশি, মাঠের থেকে বাইরেই বেশি সময় কাটাতে হচ্ছে তাদের। বর্তমানে চোট কাটিয়ে ফেরার প্রক্রিয়ায় মধ্যে আছেন তারা। দুইজনই অবশ্য ডাক পেয়েছেন আসন্ন উইন্ডিজ সফরের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের দুই ফরম্যাটে। সেজন্য নিজেদের প্রস্তুত করছেন।

বাঁহাতি পেসার শরিফুল অবশ্য শুরুতে শুধু ওয়ানডে স্কোয়াডে ছিলেন, পরে তাকে যুক্ত করা হয় টি-টোয়েন্টিতেও। আগামী ২২ জুন ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের উদ্দেশে উড়াল দেবেন তারা। তার আগে নিজেদের প্রস্তুত করে নিচ্ছেন। তারই অংশ হিসেবে আজ সোমবার মিরপুরে ‘চ্যালেঞ্জে’ নামেন দুইজন। যেখানে শরিফুলের এক ওভারে ৯ রান নিতে হতো ব্যাটসম্যান সাইফউদ্দিনকে। সে চ্যালেঞ্জ ভালোভাবেই জিতেছেন সাইফউদ্দিন।

মিরপুরে সংবাদমাধ্যমকে সাইফউদ্দিন বলছিলেন, ‘অনুশীলনের সময় বলেছি- আজ আমরা ম্যাচের পরিস্থিতির মত খেলব। এখানে বেশি নেট বোলার নেই, যাতে কষ্ট কম লাগে। নির্দিষ্ট ওভার ছিল, নির্দিষ্ট রান ছিল। সাইফউদ্দিন ভাই জিতেছে।’

নেটের চ্যালেঞ্জে হারলেও জাতীয় দলের টক্করে ছেড়ে কথা বলবেন না কেউই। দুই জন এক সঙ্গে ফিরলেও একই সঙ্গে জাতীয় দলে জায়গা পাওয়া সহজ হবে না। দুইজনই যে পেসার, সেখানে সাদা বলে তাসকিন আহমেদ মুস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে শরিফুলের থেকে ব্যাট করতে পারা সাইফুউদ্দিনই যে তৃতীয় পেসার হিসেবে এগিয়ে থাকবেন বেশি।

এসব নিয়ে অবশ্য ভাবছেন না শরিফুল, ‘আসলে আমরা সবসময় বন্ধুত্বের মতই রাখি। চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেই না। আমরা অনুশীলন করি, যে ভালো করে সে-ই খেলে। তাই কে খেলবে না খেলবে এটা নিয়ে চিন্তা করি না।’

তবে সুযোগ পেলে সেটি রোমাঞ্চকর হবে শরিফুলের জন্য, ‘আমি খুব রোমাঞ্চিত যে ওয়েস্ট ইন্ডিজে বল করব। তবে আমার খুব ইচ্ছা ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজে টেস্ট খেলার। আল্লাহর হুকুমে সেটা হয়ে ওঠেনি। পরেরবার সুযোগ এলে টেস্ট খেলার চেষ্টা করব।’

টিআইএস/এটি