সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশ ক্রিকেট সমর্থকদের আক্ষেপ বাড়ছে। প্রশ্নের পিঠে প্রশ্ন জমা হচ্ছে, আসলেই কি দেখা যাবে না আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া বাংলাদেশ বনাম উইন্ডিজের মধ্যকার খেলা? সমর্থকদের জন্য সুখবর নেই কোনো, খেলা শুরু হওয়ার আর মাত্র ৬-৭ ঘণ্টা বাকি থাকলে সম্প্রচারের জট খোলেননি এখনো, এই জট খোলার সম্ভাবনাও একেবারেই সামান্য।

উইন্ডিজে ২টি টেস্ট আর সমান ৩টি করে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে খেলবে টাইগাররা। এই সিরিজগুলো বাংলাদেশের কোনো টেলিভিশন চ্যানেল এখনো সম্প্রচারের দায়িত্ব নিতে পারেনি। শুধু উইন্ডিজ সিরিজই নয়, ক্যারিবীয় সফর শেষ করে জিম্বাবুয়েতে যাবে বাংলাদেশ দল। সেখানে সমান ৩টি করে ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি খেলার সূচি আছে, এই সিরিজের সম্প্রচার নিয়েও আছে শঙ্কা।

মোট কথা উইন্ডিজ সিরিজের সম্প্রচারের জট না কাটলে জিম্বাবুয়ে সিরিজও দেখা যাবে না বলে ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন সম্প্রচারকারী প্রতিষ্ঠানের এক কর্তা।

ক্রিকেট সমর্থকদের টিভিতে খেলা দেখতে না পারার এই আক্ষেপ আসলে বাড়ছে ব্যবসায়িক রেষারেষিতে। স্বাগতিক বোর্ডই মূলত সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রি করে থাকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজে এটি করছে তৃতীয় পক্ষ টোটাল স্পোর্টস মার্কেটিংয়ের (টিএসএম) মাধ্যমে। 

টিএসএম জানাচ্ছে, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত কোনো চ্যানেল আগ্রহ দেখায়নি স্বত্ব কেনার ব্যাপারে। অথচ বাংলাদেশে যারা খেলা সম্প্রচার করে, তাদের দাবি, টিএসএম থেকে তাদেরকে বিভিন্ন শর্তের মারপ্যাঁচে আটকে দেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশের খেলাগুলো সরাসরি সম্প্রচার করে টি স্পোর্টস আর গাজী টিভি। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, শেষ মুহূর্তেও উইন্ডিজ সিরিজ সম্প্রচারের কোনো আশা দেখছে না তারা। এমনভাবে চললে আসন্ন জিম্বাবুয়ে সিরিজও সম্প্রচার করা সম্ভব হবে না তাদের। কারণ এই টিএসএম-ই জিম্বাবুয়ে সিরিজের টিভি স্বত্ব কিনেছে।

অতীতে বাংলাদেশের দর্শকরা কেবল দুবারই এমন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন। ২০০১ সালে শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ সিরিজ (যে সিরিজে মোহাম্মদ আশরাফুল সেঞ্চুরি করেছিলেন) এবং পাকিস্তান-বাংলাদেশের এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচ দেখা যায়নি কোথাও। 

টিআইএস/এটি/এনইউ