উইন্ডিজে টেস্ট ম্যাচে নতুন বল বরাবরই চ্যালেঞ্জিং। সেখানে সাদা পোশাকে যে ডিউক বলে খেলা হয়, যাতে সুইং থাকে বেশি সময় ধরে। সচরাচর যাতে অভ্যস্ত নয় বাংলাদেশ দল। অ্যান্টিগার যে ভেন্যুতে সিরিজের প্রথম টেস্ট হচ্ছে, সেখানে এর আগে ৪৩ রানে গুটিয়ে যাওয়ার বিব্রতকর রেকর্ডও আছে বাংলাদেশ দলের। চলমান টেস্টেই তো প্রথম ইনিংসে দল অলআউট হয়েছে ১০৩ রানে। টপ অর্ডার যেখানে ব্যর্থ, সেখানে আচমকা দ্বিতীয় ইনিংসে তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

দ্বিতীয় দিনের শেষ সেশনে তামিম ইমবাল আউট হলে ব্যাট হাতে নামেন তিনি। তখন দিনের খেলার বাকি আরো ১০ ওভার। অথচ টেস্টে এর আগে এতো ওপরে খেলেননি তিনি। একবার পাঁচ নম্বরে ব্যাট করার অভিজ্ঞতা আছে। বেশিরভাগ সময়ই ৭, ৮ আর ৯ নম্বরে খেলেন। তবে তাকে এতো আগে নামানোর কারণ কী? দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন মিরাজ নিজেই।

মিরাজ বলেন, ‘আমরা আসলে মূল উইকেটগুলো হারাতে চাচ্ছিলাম না। ৪৫ মিনিটের মতো বাকি ছিল দিনের। যে কারণে আমি ওপরে উঠে আসি। আমার জন্য দারুণ সুযোগ ছিল মিডল অর্ডারে রান করার। কিন্তু আমি সেটা করতে পারিনি। আশা করছি এরপর সুযোগ আসলে কাজে লাগাব।’

বাংলাদেশ দলকে প্রথম ইনিংসে ১০৩ রানে গুটিয়ে দিয়ে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৬৫ রানের সংগ্রহ পায় উইন্ডিজ। এতে তাদের লিড দাঁড়ায় ১৬২ রানের। পরে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে ২ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ৫০ রান তুলেছে সফরকারীরা। ক্যারিবীয়দের চেয়ে এখনো ১১২ রানে পিছিয়ে আছে অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের দল। ম্যাচের এমন পরিস্থিতিতে নিজেদেরকে কোথায় দেখছেন মিরাজ?

উত্তরে বললেন, ‘ব্যাটসম্যানদের দিকে তাকিয়ে আছি। যদি দুইটা শত রানের জুটি হয়, দুইজন ব্যাটসম্যান ৭০ করে রান পায়, তবে সুযোগ আমাদেরও আছে। আমাদের লক্ষ্য আগামীকাল পুরো দিন ব্যাট করা। ভালো ব্যাট করলে সুযোগ থাকবে।’

ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ৬০ বলে ১৮ আর চারে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত ২৩ বলে ৮ রান নিয়ে শনিবার তৃতীয় দিন শুরু করবেন।

টিআইএস/এনইউ