ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শেষ হতেই উইন্ডিজগামী বিমান ধরে বাংলাদেশ দল। পূর্ণাঙ্গ সিরিজ শুরু হয়েছে লাল বলের লড়াই দিয়ে। তবে এই সফর থেকে আগেই ছুটি নিয়েছেন টাইগারদের স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথ। তার পরিবর্তে ‘ঠেকার’ কাজ চালানো স্থানীয় কোচ সোহেল ইসলামও এবার দলের সঙ্গী হননি। 

কথা ছিল বাংলাদেশ দলের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গোকে নিয়ে টিম ডিরেক্ট খালেদ মাহমুদ সুজন ক্যারিবীয় সফরে স্পিন বিভাগের দায়িত্ব সামলাবেন। তবে অসুস্থতার কারণে উইন্ডিজ যাওয়ার আগেই মাঝপথ থেকে দেশে ফিরে এসেছেন সুজন। তার পরিবর্তে বাঁহাতি স্পিনার তাইজুলই যেন স্পিন কোচের ভূমিকায়। সঙ্গে অ্যান্টিগা টেস্টে পরামর্শক হিসেবে সদ্য সাবেক অধিনায়ক মুমিনুল হকের সাহায্যও পাচ্ছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে মিরাজ বলছিলেন, ‘প্রথম ২-৩ টা স্পেলে হতাশ ছিলাম কারণ ভালো বোলিং হচ্ছিল না, ঠিক জায়গায় করতে পারছিলাম না। মানসিকভাবে ফোকাসড হওয়াটা জরুরি ছিল। সে ক্ষেত্রে আমার সতীর্থ মুমিনুল ও তাইজুল আমাকে দারুণ সমর্থন দিয়েছে। তাদের দু’জনকে ধন্যবাদ দিতে চাই।’

উইন্ডিজের কন্ডিশন পেসারদের জন্য সহায়ক, সঙ্গে বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে খোদ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান থাকায় অ্যান্টিগা টেস্টে একাদশে জায়গা হয়নি তাইজুলের। এই টেস্টে সাইড বেঞ্চ থেকেই মিরাজকে টোটকা দিচ্ছেন তাইজুল। তাতে সফলও হয়েছেন মিরাজ। এই অফ স্পিনারের বদৌলতেই স্বাগতিকদের ২৬৫ রানে থামাতে পারে সফরকারীরা। দারুণ বোলিং ম্যাচ মোড় ঘুরিয়ে দিয়ে মিরাজ একাই নেন ৪ উইকেট।

মিরাজ বলছিলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় উইকেট কিছুটা স্লো ছিল। এই পিচে শুধু একই জায়গায় বল করে যাওয়াটা সঠিক সিদ্ধান্ত। এতে করে ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার একটা সম্ভাবনা থাকে। আমি আসলে তখন ডট বল দেওয়াতে মনোযোগ দিই। প্রথম ২-৩ স্পেলে আমি উইকেটের জন্য বল করেছি। এটাই সমস্যা হয়েছিল। এরপর আমি রান আটকানোর দিকে যাই। ওভারপ্রতি আড়াই রানের মতো দিলে সুযোগ আসবে বলে মনে করেছিলাম। এমনই হয়েছে।’

টিআইএস/এটি/এনইউ