উইন্ডিজের কন্ডিশন বরাবরই পেসারদের জন্য সহায়ক। সবশেষ অ্যান্টিগা টেস্টেও ক্যারিবীয় পেসারদের দাপুটে বোলিংয়ে খেই হারিয়েছে বাংলাদেশ দল। কেমার রোচ, আলজারি জোসেফদের বোলিং তোপে প্রথম ইনিংসে ১০৩ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। পরে ম্যাচটি হারতে হয় ৭ উইকেটে। এই টেস্টে বাংলাদেশ দলের দুই ইনিংসে পড়া ২০ উইকেটের সবকটি দখল করেন পেসাররা।

এবার সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট সেন্ট লুসিয়ায়। সেখানেও ক্যারিবীয় পেসারদের দাপট থাকবে জানিয়ে বাংলাদেশ দলের প্রতি ভীতিকর বার্তা দিয়ে রাখলেন উইন্ডিজের অভিজ্ঞ পেসার রোচ। সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে কারণ ব্যাখ্যা করেন তিনি।

রোচ বলছিলেন, ‘এটা ওয়েস্ট ইন্ডিজের অন্যতম সেরা উইকেট। পেসারদের জন্য অনেক কিছু আছে এখানে। আমি এখনও উইকেটে যাইনি, তাই জানি না। আশা করি কাল (আজ) অনুশীলনে উইকেট দেখব। সাধারণত এটা ক্যারিবীয়ানে পেসারদের জন্য অন্যতম সেরা উইকেট।’

আগামী ২৪ জুন শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় টেস্টের ভেন্যু সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ দল এর আগে সবশেষ টেস্ট খেলেছে ২০১৪ সালে। সেই টেস্টে ২৯৬ রানের বিশাল জয় পায় স্বাগতিকরা। সে ম্যাচে রোচ প্রথম ইনিংসে নেন ৫ উইকেট, সব মিলিয়ে ম্যাচে দখল করেন ৬ উইকেট। রোচ এবার সেন্ট লুসিয়ার একটি মাইলফলকের দামনে দাঁড়িয়ে। এই টেস্টে ক্যারিবীয় কিংবদন্তি মাইকেল হোল্ডিংকে টপকে ২৫০ উইকেটের মালিক হতে চান তিনি।

রোচ বলেন, ‘লক্ষ্য অবশ্যই পঞ্চাশ (২৫০) পার হওয়া। এখন ৪৯ (২৪৯) আছে, আশা করি একটা উইকেট পেয়ে যাব আগামী ম্যাচে। এরপর আমার শরীরকে ঠিক করা ৩০০ উইকেটের জন্য। সেটা আমার, দল ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের জন্য আইডিয়াল হবে। এটা অবশ্যই তালিকায় আছে।’

অ্যান্টিগা টেস্টে রোচ বসেছেন উইন্ডিজ কিংবদন্তি মাইকেল হোল্ডিংয়ের পাশে। ৬০ টেস্টে ২৪৯ উইকেট নিয়ে উইন্ডিজ ইতিহাসে ষষ্ঠ সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক ছিলেন এই কিংবদন্তি। বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ৭ উইকেট পেয়ে ৭২টি টেস্ট খেলে সমান উইকেট নিয়ে তার পাশে বসছেন রোচ।

অবশ্য উইন্ডিজদের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক হলে চাইলে এই বাঁহাতিকে হাঁটতে হবে আরও বহুদূর। ১৩২ ম্যাচে ৫১৯ উইকেট নিয়ে শীর্ষে বাংলাদেশের সাবেক বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ। মাত্র ৯৮ টেস্টেই ৪০৫ উইকেট নিয়ে পরের স্থানটি আরেক দুর্ধর্ষ পেসার কার্টলি অ্যামব্রোসের। 

৮১ টেস্টে ৩৭৬ উইকেট ম্যালকম মার্শালের। ৩০৯ ও ২৫৯ উইকেট নিয়ে পরের স্থান দুটি ল্যান্স গিবস ও জোয়েল গার্নারের। সেরা পাঁচের স্পিন বল করতেন শুধু গিবসই।

টিআইএস/এটি/এনইউ