দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে ৭ উইকেটে হার। সিরিজ বাঁচাতে দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে জয় ভিন্ন কোনো রাস্তা খোলা নেই বাংলাদেশ দলের সামনে। অ্যান্টিগা টেস্টের পর এবার সেন্ট লুসিয়ার চ্যালেঞ্জ। ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের বিরুদ্ধ কন্ডিশনে চোখ রাঙাচ্ছে উইন্ডিজের পেস বোলিং বিভাগ। সেই সত্যকেই আলিঙ্গন করেছে টাইগাররা। নাহলে কী আর সাকিব আল হাসান বলেই দিলেন, কঠিন কন্ডিশনে কখনোই টিকতে পারে না তার দল।

শুক্রবার দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর আগে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বলেন, ‘সর্বশেষ তিন টেস্ট যদি দেখেন, তাহলে বলতে পারেন (পেস আতঙ্ক)। তার আগের তিন টেস্ট দেখলে বলবেন স্পিন। সুতরাং কঠিন কন্ডিশনে আমরা কখনোই টিকতে পারিনি। এখানে একটা সুযোগ, চ্যালেঞ্জও। এখন এটাকে আমরা কীভাবে কাটিয়ে উঠতে পারি সেটা দেখতে হবে।’

সাকিব অবশ্য মন্দ বনেলনি। অ্যান্টিগা টেস্টে বাংলাদেশ দলের দুই ইনিংসে পড়া ২০ উইকেটের সবকটি দখল করেন স্বাগতিক পেসাররা। তার আগে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার পেসারদের কাছে আত্মসমর্পণ করতে হয়। 

এই ৩ টেস্টের আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় নাস্তানাবুদ করেন প্রোটিয়া দুই স্পিনার কেশভ মহারাজ আর সাইমন হারমার। উইন্ডিজে দ্বিতীয় টেস্টে তাই প্রতিপক্ষকের বোলিং বিভাগ নিয়ে ভাবনা নেই অধিনায়ক সাকিবের। সফরকারীদের চিন্তার পুরোটাই উইকেট নিয়ে।

সাকিব বলেন, ‘প্রথমদিন অ্যান্টিগা টেস্টের চেয়ে ভালো উইকেট হবে, ব্যাটিংয়ের জন্য। পেস, বাউন্স একটু থাকবে। কিন্তু ওইরকম সাইডওয়েজ মুভমেন্ট থাকবে বলে মনে হয় না। তবে না খেলা পর্যন্ত বলা সম্ভব না উইকেট আসলে কেমন হবে। আমরা যখন খেলাটা শুরু করব, এর ১৫-২০ মিনিট পর হয়তো আমরা বুঝতে পারব উইকেটটা কেমন।’

সঙ্গে যোগ করেন সাকিব, ‘এমন উইকেটে স্বাভাবিকভাবে রানটা বেশি হয়। খেলাটাও দ্রুত হয়। তাড়াতাড়ি রানের সম্ভাবনা থাকে। আড়াআড়ি ব্যাটের শটগুলো বেশি কাজে আসে। আমাদের পেস ও বাউন্সের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। আজকে একটা নেট সেশন আছে। আমার মনে হয় মানিয়ে নিতে পারব। আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখন নিউজিল্যান্ড কিংবা অন্যান্য দেশে এ ধরনের উইকেটই থাকে। আমাদের খেলোয়াড়রা যেহেতু এই সব ধরনের কন্ডিশনে খেলে অভ্যস্ত, খুব একটা সমস্যা হওয়ার কথা না।’

টিআইএস/এনইউ