বাংলাদেশ: ২৩৪/১০ (৬৪.২ ওভার) ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৪০৮/১০ (১২৬.৩ ওভার)

কাইল মায়ার্স দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন। তাতে বাংলাদেশের শঙ্কা ছিল বিশাল রানের পাহাড়ে চাপা পড়ার। শেষমেশ সেটা হয়নি খালেদ আহমেদের কল্যাণে। ক্যারিয়ারের প্রথম পাঁচ উইকেটের দেখা পেলেন তিনি, সঙ্গ পেলেন মেহেদি হাসান মিরাজ আর শরিফুল ইসলামের। তাতে উইন্ডিজকে বেধে রাখা গেল ৪০৮ রানে, লিড ১৭৪ রানের। তবে নিজেদের প্রথম ইনিংসের ব্যাটিং ব্যর্থতা এই রানকেও আপাতত এভারেস্টসমই ঠাহর করাচ্ছে বাংলাদেশকে। 

ড্যারেন স্যামি স্টেডিয়ামে সকালের সেশনটা দুর্দান্ত হয়েছিল গতকালও। সেই ধারাটা বাংলাদেশ ধরে রাখে আজ তৃতীয় দিনেও। পাঁচ উইকেটে ৩৪০ রান নিয়ে দিন শুরু করা ক্যারিবীয়রা উইকেট হারায় দিনের দ্বিতীয় ওভারেই। জশুয়া দা সিলভাকে ফেরান মেহেদি।

তার দুই ওভার পর আক্রমণ খালেদের। নতুন ব্যাটসম্যান আলজারি জোসেফকে ফেরান তিনি। মায়ার্স তখনো ছিলেন গলার কাঁটা হয়ে। অষ্টম উইকেট আবারও প্রতিরোধ গড়লেন কেমার রোচকে সঙ্গে নিয়ে। ম্যাচে বৃষ্টির হানা এল এরপর। তাতে দুই ঘণ্টা বন্ধ থাকে খেলা। মাঝে চলে যায় মধ্যাহ্ন বিরতিটাও। 

দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই খালেদ ফেরালেন ১৪৬ রান করা মায়ার্সকে।   ৩৮৪ রানে ৮ উইকেট খোয়ায় উইন্ডিজ। এরপর রোচ অ্যান্ডারসন ফিলিপসকে নিয়ে গড়লেন আরও একটা ছোট্ট প্রতিরোধ, স্বাগতিকদের লিডে যোগ হলো আরও গোটাবিশেক রান। শরিফুলের শিকার হয়ে ফিলিপস ফেরেন এরপর। শেষ উইকেটে জেইডেন সিলসকে ফিরিয়ে খালেদ তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম ফাইফার। তাতে উইন্ডিজ থামে ৪০৮ রান তুলে। আর বাংলাদেশের ওপর লিড চাপায় ১৭৪ রানের।

এনইউ