বাংলাদেশ দলের একেকটি টেস্ট ম্যাচ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সুরতহাল করতে হয় ব্যাটসম্যানদের ধারাবাহিক ব্যর্থতার। একাধিক পরিবর্তন এনেও সাদা পোশাকের ফরম্যাটের এই কিছুতেই উন্নতি হচ্ছে না টাইগারদের। দক্ষিণ আফ্রিকার পর শ্রীলঙ্কা সিরিজ শেষে উইন্ডিজ সফরেও একই আক্ষেপ আর হতাশার পুনরাবৃত্তি। ক্যারিবীয় সফরে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার ফিরিস্তি শোনাতেই যেন হাঁপিয়ে উঠেছেন সাকিব আল হাসান।

প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১০৩ রানে গুটিয়ে গিয়ে সেই ম্যাচ হারে ৭ উইকেটের ব্যবধানে। দ্বিতীয় টেস্টেও দুই ইনিংসেই ব্যর্থ ব্যাটসম্যানরা। সেট হয়েও দায়িত্ব নিয়ে লম্বা ইনিংস খেলতে পারছেন না কেউ। সেন্ট লুসিয়া টেস্ট ১০ উইকেটে হেরে অধিনায়ক সাকিবের কণ্ঠে আরেকবার হতাশার সুর। তবে জানালেন, উদ্বিগ্ন নন তিনি। সাকিব ফেরাতে বলছেন দৃঢ় মানসিকতা।

সাকিব বলেন, ‘আমাদের ব্যাটিং নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন নই। আমাদের মানসিকভাবে আরও দৃঢ় হতে হবে।  টেস্ট কঠিন হবে এটা সবসময়ই জেনেছি। ম্যাচ জিততে হলে আমাদের দল হিসেবে খেলতে হবে। সাদা বলের ক্রিকেটে আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দল। ব্যাটসম্যানরা আবার আত্মসমর্পণ করেছে। উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছে। শর্ট বলের বিপক্ষে নড়বড়ে।’ 

সঙ্গে যোগ করেন সাকিব, ‘ব্যাটিংয়ের এসব সমস্যা নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্টের কাজ করার অনেক জায়গা আছে। ব্যাটসম্যানদের ধৈর্যহীনতা আর মানসিকতা দুই ম্যাচেই প্রভাব ফেলেছে। বোলাররা লড়াই করলেও স্কোরবোর্ড সে কথা বলবে না। গত ৩-৪ বছরে পেস বোলিংয়ে আমরা অনেক উন্নতি করেছি।’

সাকিব উদ্বিগ্ন নন বললেও তার কথাতেই পরিষ্কার, ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় টেস্টে লড়াই করতে পারছে না বাংলাদেশ দল। এদিন সাকিব ব্যাটসম্যানদের মানসিকতাকে কাঠগড়ায় তুললেও কয়েকদিন আগেই ব্যাটসম্যানদের টেকনিককেও দুষেছিলেন।

টিআইএস/এটি