সময়টা ক্রিকেট প্রতিভা দিয়ে জাতীয় দলে জায়গা করে নেওয়ার স্বপ্ন দেখার। কিন্তু এই সময়টাতেই সেই স্বপ্নের বদলে অ-১৯ ক্রিকেটারের চোখে জায়গা করে নিয়েছে অকাল মৃত্যুর দুঃস্বপ্ন। তাকে ডেকে নিয়ে যে দেওয়া হয়েছে খুনের হুমকি!

এমনই অভিযোগ এনেছেন উত্তরাখণ্ডের অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটার আর্য শেঠির বাবা বীরেন্দ্র শেঠির। তিনি থানায় অভিযোগ করেছেন উত্তরাখণ্ড ক্রিকেট সংস্থার কর্তা মাহিম বর্মা এবং আরও ছয় জনের বিরুদ্ধে।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা জানাচ্ছে, গত ২০ জুন বসন্ত বিহার থানায় এফআইআর করেন বীরেন্দ্র। সেখানে তিনি মাহিম বর্মা তো বটেই, কোচ মনীশ ঝা, ম্যানেজার নবনীত মিশ্র, ভিডিও বিশ্লেষক পীযূষ রঘুবংশীর বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেন।

আর্যর বাবার অভিযোগ, গত বছর ডিসেম্বরে বিজয় হাজারে ট্রফির সময় রাজকোটে অনুশীলন করছিল উত্তরাখণ্ড। সেখানে আর্যকে কটূক্তি করে বসেন কোচ। মারধরও হয় তাকে। আর্য সেই সময় সচিবের কাছে অভিযোগ জানান। তাতে বিষয়টার সমাধান তো পানই নি, উল্টো আরও ভয়ঙ্কর হয় পরিস্থিতি।

আর্যকে ঘরে ডেকে পাঠান কোচ। সেখানে তাকে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়। তাকে জানানো হয়, তাকে মারার জন্য পেশাদার খুনিও নিযুক্ত করা হবে। আর্য বাড়ি ফেরার পর বীরেন্দ্র দেখা করেন মাহিমের সঙ্গে। সেখানে অভিযোগ শোনার বদলে মাহিম ১০ লক্ষ টাকা দাবি করেন বীরেন্দ্র শেঠির কাছে। তাকে বলা হয় এই টাকা দিলে আর্যর সামনে আর কোনও বাধা থাকবে না। 

এরপরই আইনি ব্যবস্থা নেন বীরেন্দ্র। স্থানীয় পুলিশের কাছে এফআইআর করেন। যে থানায় এই এফআইআর করা হয়েছে, সেই বসন্ত বিহার থানার বিনোদ সিংহ রানা জানান, এফআইআর গ্রহণ করার পর দল গঠন করে তদন্তও শুরু করেছে পুলিশ। উত্তরাখণ্ড ক্রিকেট সংস্থাকে চিঠিও পাঠানো হয়েছে, যদিও এর উত্তর পাননি তারা। গ্রেফতার এড়াতে সাত অভিযুক্তের ২ জন ইতোমধ্যেই জামিন চেয়েছেন আদালত থেকে। 

মাসখানেক আগে এই উত্তরাখণ্ড ক্রিকেট সংস্থার বিরুদ্ধেই অর্থ জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছিল। এর মধ্যেই এবার সংস্থাটির কর্তাদের বিরুদ্ধে উঠল হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ।

এনইউ/এটি