বাংলাদেশ টাইগার্স ও বাংলাদেশ হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের (এইচপি) মধ্যকার চার দিনের ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে ব্যাট হাতে রানের দেখা পেয়েছেন সৌম্য সরকার, বল হাতে ৫ উইকেট নিয়েছেন অফস্পিনার নাঈম হাসান। 

অফ ফর্মের কারণে জাতীয় দলের বাইরে আছেন সৌম্য। চোটের কারণে উইন্ডিজ সফরে জায়গা পাননি অফ স্পিনার নাঈম। তারা দুজনেই আছেন বাংলাদেশ টাইগার্সের ক্যাম্পে; লাল সবুজের জার্সি আবারও গায়ে দেওয়ার মিশনে নিজেদের প্রস্তুত করছেন। 

রাজশাহীর শহিদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিনের খেলায় টস হেরে ব্যাটিং করতে প্রথম ইনিংসে ৭২.১ ওভারে এইচপি ২২৭ রান করে। প্রথম ইনিংস খেলতে নেমে ৬ উইকেটে ১৯৪ রান করে দিন শেষ করে বাংলাদেশ টাইগার্স। বাংলাদেশ টাইগার্সের হয়ে সর্বোচ্চ ৮১ রান কর সৌম্য। ১০ চার ২ ছয়ে ১৩৬ বলে এই রান করেন এই বাঁহাতি। সেঞ্চুরি থেকে যখন ১৯ রান দূরে তখন মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধকে খোঁচা দিয়ে ফেরেন সাজঘরে। 

সৌম্য ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন নাঈম শেখের সঙ্গে। সেই জুটি বেশি লম্বা হয়নি। শুরুটাও ভালো হয়নি। মাত্র ৯ রানে মৃত্যুঞ্জয়ের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাজঘরে। তিনে নেমে ইমরুল কায়েস ২৪ রানের বেশি করতে পারেননি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসে ফজলে মাহমুদ রাব্বির ব্যাট থেকে। তিনি ৩৫ রান করে অপরাজিত আছেন। এইচপির হয়ে ২টি করে উইকেট নেন মুগ্ধ ও রিপন মণ্ডল। 

এর আগে ৬ উইকেটে ১৭৬ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিল এইচপি। আজ দিনে তারা ৪ উইকেট হারিয়ে ৫১ রান যোগ করে। যার মধ্যে ৩ উইকেট নেন সদ্য চোট কাটিয়ে ফেরা নাঈম। গতকাল নিয়েছিলেন ২ উইকেট। তার সঙ্গে আজকের তিন উইকেটের ফলে ফাইফারও আদায় করে বসেন। সব মিলিয়ে ১৮.১ ওভারে ৬৭ রানে ৫ উইকেট নেন এই স্পিনার। 

এইচপির হয়ে সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেছেন মাহফিজুল ইসলাম। এ ছাড়া আকবর আলী ৪১ ও মৃত্যুঞ্জয় ৩৭ রান করেন। এই তিনজনের ব্যাটে চড়েই দুইশ পার করে এইচপি। নাঈম ছাড়াও বল হাতে দারুণ করেছেন বাংলাদেশ টাইগার্সের হাসান মাহমুদ। তিনি নেন ৩ উইকেট। শুরুতে উইকেট নিয়ে ম্যাচের লাগাম টেনে ধরেছিলেন হাসান।

টিআইএস/এনইউ