নাসুম আহমেদের ভাগ্যটা ওয়ানডে সিরিজে যেন কিছুটা বিরূপ আচরণই করছিল তার সঙ্গে। নাহয় তিন তিন বার উইকেট পেয়েও রিভিউর কাটায় কেউ উইকেট হারায়? প্রথম ম্যাচে দুবার, চলতি দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও একবার উইকেট পেতে পেতেও পাওয়া হয়নি তার। তবে চতুর্থবার আর ভাগ্যদেবি মুখ ফিরে থাকতে পারেননি তার থেকে।

উইকেটের খাতাটা যখন খুললেন নাসুম, তখন রীতিমতো অপ্রতিরোধ্যই হয়ে উঠলেন। তিন ওভারের ব্যবধানে নিলেন তিন উইকেট, শেষ দুটো আবার একই ওভারে। তাতেই দারুণ বিপদে উইন্ডিজ।

ইনিংসের অষ্টম ওভারে নাসুম আহমেদ প্রথম ওয়ানডে উইকেটটা পেয়েই গিয়েছিলেন। হোপের বিপক্ষে একটা কট বিহাইন্ডের আবেদন তুলেছিলেন, তাতে আম্পায়ার সাড়াও দিয়েছিলেন। তবে বিপত্তি বাধায় রিভিউ। তৃতীয় আম্পায়ারের রিভিউতে দেখা যায়, বলটা হোপের ব্যাটেই লাগেনি, শব্দ যা শোনা গিয়েছিল, আর স্নিকোমিটারের স্পাইক যা দেখাচ্ছিল, সেটা ব্যাট মাটিতে লাগার শব্দ। তাতে রিভিউতে সফলতা পায় উইন্ডিজ, বাংলাদেশ পোড়ে হতাশায়।

এমন কিছু নাসুমের দুই ম্যাচের ছোট্ট ওয়ানডে ক্যারিয়ারে অচেনা কিছু নয় মোটেও। আগের ম্যাচে দারুণ কিপটে বোলিংই করছিলেন, ৮ ওভারে দিয়েছিলেন মাত্র ১৬ রান। উইকেটের সুযোগও তৈরি করছিলেন, দুবার পেয়েও গিয়েছিলেন, সেই দুই বারও নাসুমের পথ আগলে দাঁড়িয়েছিল উইন্ডিজের রিভিউ।

তবে এবার আর পারল না। ইনিংসের ১৪তম ওভারে দারুণ এক আর্মারে বিভ্রান্ত করে বোল্ড করেন শামার ব্রুকসকে। উইকেটের পর ইশারায় রিভিউ দেখাচ্ছিলেন নাসুম, তাতে বোঝাই যাচ্ছিল, প্রতিপক্ষের রিভিউ কতটা হতাশায় রেখেছিল তাকে।

উইকেট শিকারের পর নাসুম আহমেদের উদযাপন/গেটি ইমেজ

সেই গেরো যখন খুললেন নাসুম, এরপর দ্বিতীয় আর তৃতীয় উইকেটের দেখা পেলেন দ্রুতই। এক ওভার বাদে তিনি ফেরান বিপদজনক হয়ে উঠতে থাকা শেই হোপকে। তার লেন্থ বলকে স্লগ সুইপ করে সীমানাছাড়া করার চেষ্টা করেন হোপ, তবে সফলতা মেলেনি। শর্ট মিড উইকেটে মোসাদ্দেকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।

এর এক বল পরই আবারও নাসুমের আঘাত। এবার তাকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বিভ্রান্ত হন নিকলাস পুরান। তাতে ৪৫ রানে চার উইকেট খুইয়ে বসে উইন্ডিজ, যাতে নাসুমের একারই শিকার ৩ উইকেট। 

এনইউ