টি-টোয়েন্টিতে লিটন দাস তিনে খেললেও ওয়ানডেতে ওপেনিং পজিশনে তামিম ইকবালের সঙ্গে নিজের জায়গা বেশ শক্ত করে ফেলেছেন। তাতে টিম ম্যানেজমেন্টের ডানহাতি-বাঁহাতি কম্বিনেশনের যে কৌশল, সেটির প্রক্রিয়াও ঠিক রাখা যায়। তবে উইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে ১০৯ রান তাড়া করতে নামা বাংলাদেশ দলে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। লিটনের পরিবর্তে এদিন ওপেনিং তামিমের সঙ্গী নাজমুল হোসেন শান্ত।

ম্যাচ শেষে এর কারণ জানতে চাওয়া হয় খোদ অধিনায়ক তামিমের কাছে। তাতে পুরো কৃতিত্ব লিটনকে দিলেন তামিম। জানালেন, কেন লিটনের ভাবনায় আরেক বাঁহাতি শান্তকে নিয়ে ইনিংস শুরু করেন তিনি।

আরও পড়ুন>> বাংলাদেশ দলে ‘নতুন বাঘ’ এসে গেছে!

তামিম বলছিলেন, ‘শান্তকে নিয়ে ওপেন করার বিষয়টা লিটনের দুর্দান্ত ভাবনা ছিল। ও এসে আমাকে বললো, ভাই আপনারা দুই জন যদি ওপেন করেন কেমন হয়? কারণ বাঁহাতি স্পিনারটা (গুদাকেশ) ওদের মূল অস্ত্র ছিল।’

গায়ানার উইকেট স্পিনারদের সহায়ক। এজন্য সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে পেসার তাসকিন আহমেদকে বসিয়ে বাড়তি একজন স্পিন অলরাউন্ডার খেলায় বাংলাদেশ দল। এদিন মেহেদী হাসান মিরাজ আর নাসুম আহমেদে ঘূর্ণিতে দিশেহারা ক্যারিবীয় ব্যাটিং বিভাগ। গুটিয়ে যায় ১০৮ রানে। তবে ভাবনা ছিল বাংলাদেশ দলেও। স্বাগতিকদের দুই স্পিনার গুদাকেশ মটি আর আকিল হোসাইন দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ান।

আরও পড়ুন>> ১০ উইকেটের জয় অধরাই রয়ে গেল বাংলাদেশের

তামিম বলেন, ‘বল অনেক স্পিন করছিল, তো সেই জায়গা থেকে ডানহাতি ব্যাটসম্যানের জন্য কষ্টদায়ক তো অবশ্যই। আমি আর শান্ত যখন ওপেন করতে গেলাম, তখন আমরা বললাম যে, রান যদি নাও হয় কোনো সমস্যা নাই। ওদের (দুই স্পিনার) ২০ ওভার যদি শেষ করা যায়।’

১০৯ রানের লক্ষ্য টপকাতে নেমে শান্তর সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে ৪৮ রানে সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ দল। গায়ানার উইকেট বিবেচনায় সেটা একশ রানের সমতুল্য মনে করছেন তামিম, ‘আলহামদুলিল্লাহ আমরা ৪৮ রানের দারুণ একটা পার্টনারশিপ করেছি। ৪৮ সংখ্যাটা দেখতে একটু ছোট লাগলেও এই উইকেট বিবেচনায় এটা ১০০ রানের সমতুল্য।’

টিআইএস/এনইউ